মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার নামে কল্যাণী এইমসের NRC চালু করার ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যবাসীকে সরাসরি সতর্ক করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সমীক্ষা চলছে। স্বাস্থ্য সমীক্ষার নামে এনআরসি করতে চাইছে।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কল্যাণীতে AIIMS-এর জন্য জমি দিয়েছিল রাজ্য সরকারই। অথচ উদ্বোধনের সময় রাজ্যকে জানানো হয়নি। এ বার মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার নামে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পরিচয় নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্য সরকার কোনও সমীক্ষা করছে না। কেউ যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করতে আসে, আগে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।”

মমতা (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেন, “মেন্টাল হেলথ সার্ভের নামে আসলে একটা রাজনৈতিক দলকে সামনে রেখে এই কাজ চলছে। মানুষ সঙ্গে নেই বলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “এইমসের কাজ হল রোগীর সেবা করা। সেটা ভালো করে করুন। রাজ্যের কাজ হল সমীক্ষা করা। সমীক্ষার প্রয়োজন হলে আমরা করব, এবং খোলাখুলি জানিয়ে করব।”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, ‘হেলথ সার্ভে’র আড়ালে কোনওভাবে এনআরসি চালুর চেষ্টা করলে তার কড়া বিরোধিতা করবে রাজ্য।

মন্ত্রিসভার বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী এইমসের প্রসঙ্গ তোলেন বলে জানা গিয়েছে । তাঁর কথায়, স্বাস্থ্য সম্পূর্ণভাবে রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয় । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেন্টাল হেলথের নাম করে যেভাবে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআরসির তথ্য সংগ্রহ করছে তা উদ্বেগের ৷

সূত্রের খবর, তিনি মন্ত্রিসভার তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, যাতে এই অবস্থায় নিজ নিজ ক্ষেত্রের সাধারণ মানুষ যাতে কাউকে কোনও তথ্য না-দেন, তার জন্য সতর্ক করতে হবে । এ দিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব দিয়েছেন । একইভাবে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন পুরসভা এবং পুর এলাকাগুলিতে মানুষকে সতর্ক করার জন্য । আর রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন যাতে বিধায়কদের এই বিষয়গুলিতে তিনি সতর্ক করেন ।

–

–

–

–

–