রাজ্যের ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচন করার জন্য নিয়োগ কমিটি (selection panel) তৈরি করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সেই কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাজ্যের অধ্যাপক মহল। রাজভবন উপাচার্য নিয়োগের জটিলতা তৈরি করেছিল, তা কাটাবে এই কমিটি, প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির। সেই কমিটিতে বিতর্কিত দুই সদস্যের উপস্থিতি নিয়ে নিয়োগ কমিটির প্রধান প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে (Former CJI U U Lalit) চিঠি দিলেন রাজ্যের অধ্যাপক মহলের একাংশ।

উপাচার্য নিয়োগ কমিটি একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রমেশ চন্দ্র (Ramesh Chandra), যিনি রাজস্থানের ভরতপুরের মহারাজা সুরাজমল ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন উপাচার্য। বাংলার অধ্যাপকদের অভিযোগ, অধ্যাপক চন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক তছরুপ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে সেখানকার রাজ্যপাল তাঁকে একসময় সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাংলার উপাচার্য (Vice-chancelor) নিয়োগ কমিটিতে রাখা বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য ক্ষতিকারক, দাবি অধ্যাপকদের।

বাংলার অধ্যাপকরা আপত্তি তুলেছেন আরও এক সদস্য প্রাক্তন আইএএস এস কে পট্টনায়কের (S K Patnaik, IAS) বিরুদ্ধেও। অধ্যাপকদের দাবি, এই প্রাক্তন আইএএস বর্তমানে বাংলার রাজভবনে (Rajbhavan) কর্মরত। যে রাজভবন দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের বিরোধিতা করে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ আটকে রেখেছিলেন, সেই রাজভবনের অন্যতম আমলাকে নিয়োগ কমিটিতে রাখা পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন অধ্যাপকদের একাংশ।

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের (Former CJI U U Lalit) নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি থেকে এই দুই সদস্যকে সরানোর আবেদন জানানো হয়েছে অধ্যাপকদের তরফে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ১৫ টিতে উপাচার্য নিয়োগে জটিলতা কাটাতে দ্রুত পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে নিয়োগ কমিটির কাছে।

আরও পড়ুন – কেন্দ্রের কারণেই আটকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ! আদালতে জানাল রাজ্য

_

_

_

_

_

_
_