ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অগ্রগতি না হওয়ার নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহাকেই দায়ী করল রাজ্য। সোমবার হলফনামা দিয়ে সে কথা আদালতে স্পষ্ট জানাল নবান্ন। পাশাপাশি রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা না মিললেও নিজেদের উদ্যোগেই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে তারা।

এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাটাল মূলত শীলাবতী, কংসাবতী ও দ্বারকেশ্বর নদীর উপত্যকায় বিস্তৃত অঞ্চল। জমিদারি আমলে স্থানীয় ভূস্বামীরা সার্কিট বাঁধ তৈরি করে আবাদি জমি রক্ষা করতেন। কিন্তু সেই বাঁধগুলির রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ফলত প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে ঘাটাল প্লাবিত হয়। অন্যদিকে নদীতে জমতে থাকা পলি জলধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে, ফলে বন্যার প্রকোপও বাড়ছে। এই সমস্যা মেটাতেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের ভাবনা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সহায়তা না মেলায় এতদিন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালবাসীকে আশ্বাস দেন—রাজ্যের অর্থেই এগোবে প্রকল্প। রাজ্যের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে, আরামবাগের সভায় সাংসদ দেবকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর ‘আবদার’ মেনেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হবে। সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে কাজ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যের আশা, প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে বহু বছরের বন্যা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মিলবে ঘাটালবাসীর।

আরও পড়ুন – ৮ বছর ‘বেকার’ ছিলেন সুস্মিতা সেন! কাজের জন্য ঘুরেছেন OTT’র দোরে দোরে

_

_

_

_

_

_

_

_