ক্ষুদ্রশিল্পে স্বনির্ভর বাংলা, মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র প্রচার শুধুই জুমলা

Date:

Share post:

কেন্দ্রের জুমলা পদে পদে প্রমাণিত। ক্ষুদ্রশিল্পে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার শুধু গালভরা প্রচারই করেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Govt)। বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন ছিল না। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রতিটি ক্ষেত্রেই কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। প্রতিটি প্রকল্প সফলভাবে রূপায়ণ করেছেন। ক্ষুদ্রশিল্পও (Minor Buisness) বিস্তর প্রসার লাভ করেছে বাংলায়। কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

করোনা মহামারীর সময় দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর গল্প শুনিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ বছরে দেখা গিয়েছে এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করেছে মাত্র ১৫ শতাংশ। ক্ষুদ্র শিল্পপ্রসার লাভ করেনি, কর্মসংস্থানও তৈরি হয়নি। কর্মসংস্থানের দিশা দিতে কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করার কথা জানিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি ৪০ হাজার কোটি দেবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ ১৫ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। আর মূলধন জোগানকারী বেসরকারি সংস্থা বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের খরচ হয়েছে ১১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মোট ৫০ হাজার কোটির তহবিলে মাত্র ১২ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

শুধু রূপায়ণে ব্যর্থতাই নয়, এক্ষেত্রেও বাংলার সঙ্গে করা হয়েছে বঞ্চনা। গোটা দেশে যখন ৬০৯টি সংস্থা এই সরকারি সুবিধা পেয়েছে, সেখানে বাংলায় পেয়েছে মাত্র ছ’টি! এই তো মোদি সরকারের কর্মসংস্থান তৈরির ভাঁওতা। তারা নাকি দেবে বছরে ২ কোটি চাকরি! ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’য় কর্মসংস্থান তৈরির জুমলায় ফের একবার প্রমাণিত মোদি সরকার প্রচারসর্বস্ব, কাজের ক্ষেত্রে অষ্টরম্ভা। বেসরকারি এমএসএমই’র ক্ষেত্রেও একই অবস্থা কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ৬৪টি মূলধন সরবরাহকারী সংস্থা যুক্তি করলেও প্রকল্প রূপায়নে ব্যর্থ মোদি। বিভিন্ন শর্তের গেরো ও প্রশাসনিক জটিলতায় ক্ষুদ্রশিল্পে আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোগপতিরা।

রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দফরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Sinha) এই মর্মে জানান, কেন্দ্রের সব প্রকল্পেরই বেহাল দশা। অথচ বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আনা প্রতিটি প্রকল্প অত্যন্ত সফল। এমএসএমইতে বাংলা দেশে এক নম্বরে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের বার্ষিক সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী এক্স বার্তায় জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থাৎ এমএসএমই-তে পশ্চিমবঙ্গ দেশের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে বাংলার মহিলাদের অসাধারণ অবদানও উঠে এসেছে রিপোর্টে।

spot_img

Related articles

বিজয়া দশমীতে শুভেচ্ছার বহর মোদির: ভোটের সমীকরণ!

আগে কবে দেশবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, মনে করা দুষ্কর। যতদূর মনে পড়ে, ২০২০ সালের পর আবার এই...

এবার উমার বাড়ি ফেরার পালা, দেবী বরণের পরে শুরু বিসর্জন

পাঁচদিনের পুজো শেষে উমা চলেছেন কৈলাসে। মিষ্টি মুখে দিয়ে, পান দিয়ে বরণ করে, সিঁদুর পরিয়ে তাঁকে রওনা করছেন...

সামান্য বৃষ্টিতেই ডবলইঞ্জিন সরকারের মথুরায় বুক সমান জল! বন্ধ গাড়িতে আটকে বৃদ্ধ

কলকাতায় রেকর্ড বৃষ্টি হওয়ার ফলে জল দাঁড়িয়ে যায়। গত ৪০ বছরে এত কম সময়ের মধ্যে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি...

এক মুঠো ফুল দাও: দশমীর শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, জানালেন দশেরার অভিনন্দনও

আবার এসো মা। আজ দশমী (Bijaya Dashami)। চারপাশে মন কেমনের পূর্বাভাস। কিন্তু তার মধ্যেও আশা যে আবার সামনের...