প্রথমবার ডুরান্ড খেলতে নেমেই বাজিমাতের পথে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আর দলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পেপটকেই (pep talk) এই সাফল্য, দাবি দলের সচিব মানস ভট্টাচার্যের (Manas Bhattacharya)। লোকচক্ষুর আড়ালে দলের ছেলেদের যে বার্তা দিয়েছিলেন, সেই বার্তাই ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ যুগিয়েছে, ফাঁস করলেন সচিব।

বুধবার হারের শক যখন কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল, তখন ডিএইচএফসি শুরু করে দিয়েছে ফাইনালের অঙ্ক কষা। কারণ আত্মবিশ্বাস তাঁদের তখন তুঙ্গে। তার পিছনে যাঁর পেপটক কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে তিনি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জানালেন ডিএইচএফসি (DHFC) সচিব মানস ভট্টাচার্য। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, ডায়মন্ড হারবার যখন পাঁচ গোলে হেরেছিল তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন খেলোয়ারদের একটি ডিনারে ডাকুন। আমাদের কর্মকর্তা আর খেলোয়াড়রাই ছিলেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভার্চুয়াল পেপটক দিয়েছিলেন।

কী বলেছিলেন অভিষেক? মানস জানালেন, তিনি একটা কথাই বলেছিলেন খেলাতে হারজিত আছে। তোমরা হারতেই পারো, বড় ব্যবধানেও হারতে পারো। ভারতবর্ষের যত প্রতিষ্ঠিত দল আছে তারা বড় ব্যবধানে অনেকবারই হেরেছে। তোমরা না হয় একবার হারলে। তোমরা সবে নতুন এসেছ। কিন্তু মনোবল হারাবে না। তোমরা যদি নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারো তোমরা জয় পাবেই পাবে।

মানস ভট্টাচার্যের দাবি, সেই ফলশ্রুতিই আমরা (DHFC) জামশেদপুরে গিয়ে হারিয়েছি ওদের দুই গোলে। তিনি আরও বলেন, উনি (Abhishek Banerjee) যে কথাগুলো আমার ক্লাবকে, খেলোয়াড়দের বলেছিলেন সেটা আমাদের দারুন কাজে লাগলো। সেদিন আমরা ঘরোয়া বৈঠক করেছিলাম। সেখানে আমি, ভিকুনা এবং ভার্চুয়াল বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয় সাংসদ যিনি এই ক্লাবকে তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

বাস্তবিকই ইতিহাস তৈরির পথে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। আর তাতে খুশি হবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যাশা ক্লাব সচিবের। তিনি জানান, আমার মনে হয় আজকের দিনে সব থেকে বেশি খুশি হবেন তিনি, কারণ তাঁর তৈরি এই ক্লাব একটা নতুন ইতিহাস তৈরি করল। যেটা ভারতবর্ষের কোনও ক্লাব তৈরি করতে পারেনি তিন বছরের মধ্যে।

–

–

–

–
