ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করলেন জবি জাস্টিন (Jobby Justin)। লাল-হলুদকে হারিয়ে ডায়মন্ডহারবার এফসিকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে পারাটাই যেন তাঁর জবাব। এই মুহূর্তটাই এখন জবি জাস্টিনের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এবার সামনে ফাইনাল। তাঁর খেলা যে শেষ হয়ে যায়নি, সেটাই জবাবটা মাঠে দিতে পেরেই গর্বিত তিনি। জবি জাস্টিনের (Jobby Justin) হাত ধরে ডায়মন্ডহারবার এফসি (DHFC) ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

একসময় ইস্টবেঙ্গল সমর্থক থেকে ক্লাবের নয়ণের মণি ছিলেন জবি জাস্টিন (Jobby Justin)। ডার্বির মঞ্চে লাল-হলুদ জার্সিতে গোল করে রাতারাতি নায়ক হয়ে উঠেছিলেন এই তারকা ফুটবলার। কিন্তু এরপরই যেন ধীরে ধীরে তার ওপর থেকে ভরসা হারাতে থাকে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। তাঁর পারফরম্যান্সের গ্রাফও খানিকটা নীচের দিকে ছিল তখন। এরপরই জবিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই সময় সময় বলেছিলেন যে জবি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর আর খেলা নেই।

সেই সময় থেকেই জেদটা বেড়েছিল। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদটা আরও জোরালো হয়েছিল। আর সেই সুযোগটাই জবিকে করে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি (DHFC)। তাঁরে সঙ্গে যে ভুল হয়েছিল, সেটাই প্রমাণ করতে মরিয়ে ছিলেন জবি। ডায়মন্ডহারবার এফসির জার্সিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে সেই সুযোগ এসেছিল। নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে আপ্লুত জবি জাস্টিন। তাঁর নেতৃত্বে দল শুধু জয়ই পায়নি, তিনি নিজেও লাল-হলুদ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে গোল করেছেন। জবির সাফ বার্তা নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে এখন তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।

জবি জাস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এটা অবশ্যই আমার জন্য একটা বিশেষ মুহূর্ত। এই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকেই আমি খেলাটা শুরু করেছিলাম। সেই ক্লাব থেকে যখন গিয়েছিলাম, সেই সময় সকলেই আমার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে আমি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছি। আমার খেলা যে এখনও শেষ হয়নি সেটা দেখানোর জন্য এই ম্যাচটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বড় মঞ্চ। নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি। এটাই ভালো লাগছে”।

এবারের ডুরান্ড কাপেই অভিষেক হয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসির। দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে তারা। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিয়েছে। তাদের নিয়ে বাংলার ফুটবলে এখন হৈচৈ। ঠোট আর কাপের মধ্যে দুরন্ত এখন শুধুই একটি ম্যাচের।

–

–

–

–

–

–