তৃতীয় মোদি সরকারের জমানায় যতগুলি আইন পাশের জন্য বিল এসেছে, বিরোধীদের চাপে পড়ে সেগুলি সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর নাটক করেছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার। ওয়াকফ আইন থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের অধিকারের আইন সংক্রান্ত আইনের ক্ষেত্রে জেপিসিতে (JPC) একবারও মানা হয়নি বিরোধীদের বক্তব্য। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের সাংসদদের মাধ্যমে সংশোধনী এনে জেপিসি-র সিদ্ধান্ত বলে চালিয়েছে। ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনীর (130 Constitution Amendment) মতো কালা কানুন জারির ক্ষেত্রেও একইভাবে জেপিসিকে শিখণ্ডি করার চক্রান্তও স্পষ্ট, দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। এই সংক্রান্ত জেপিসি (JPC) তৈরি হলে সেই কমিটিতে তৃণমূল (TMC) কোনও সদস্য থাকবে না, জানানো হল দলের তরফে।

যৌথ সংসদীয় কমিটি সাধারণত বিজেপির সাংসদদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। ওয়াকফ আইনের (WAQF Law) ক্ষেত্রে সেই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে বিজেপি সাংসদ থেকে জেপিসির চেয়ারম্যানও কান দেননি বিরোধী সাংসদদের অভিযোগে। ফলে মোদি জমানায় জেপিসিগুলি যে নাটক, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার সংবিধান ১৩০ তম সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করে জেপিসির অনুমোদন না পেলে তা আইনে পরিণত হবে না বলে দাবি জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আদতে বিজেপির কেন্দ্রের সরকারের এই প্রচেষ্টা যে নাটক, তেমনটাই দাবি বাংলার শাসকদলের।

আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি: বিধ্বস্ত থারালিতে নিখোঁজ অন্তত ৩

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই নাটক করে সংবিধান সংশোধনী-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের পুণর্গঠনের বিল জেপিসিতে পাঠানোর প্রতিবাদ আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। এবার দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রের তৈরি করা জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে (JPC) কোনও প্রতিনিধি রাখবে না তৃণমূল (TMC)।

–

–

–

–

–

–
