ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে CBI-এর ভূমিকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা “এখন গ্যালারি শো” বলে তীব্র কটাক্ষ করেন বিচারপতি। খেজুরিতে জোড়া রহস্যমৃত্যুতে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মৃতের পরিবার। সোমবার, সেই মামলার শুনানিতে আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh) মন্তব্য করেন, “এই মামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো এখনও সেই পর্যায়ে নেই।”
এদিন খেজুরি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকা তীব্র কটাক্ষ করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর কথায়, “সিবিআই এখন শুধু গ্যালারি শো। তাদের তদন্ত দিলে সেটা গ্যালারি শো হবে। পরে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।” সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, “এই মামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো এখনও সেই পর্যায়ে নেই।” এডিজি সিআইডি, ডিআইজি সিআইডি-এর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও থাকবেন সেখানে। একমাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট দেবে ওই প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে কে কে থাকবেন তার চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে মঙ্গলবার।
১২ জুলাই খেজুরিতে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয় সুজিৎ দাস ও সুধীর পাইকের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। কারণ, মৃতদেহে আঘাতের দাগ দেখা গিয়েছে। কিন্তু, পুলিশের দাবি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মামলায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তাতেই দেখা যায় দুই হাসপাতালে রিপোর্ট দুই রকম। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও, পরে হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপতালে দ্বিতীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। রাজ্যের তরফে যুক্তি ছিল, প্রথম ময়নাতদন্তের পরে দেহ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা না হলে, দুটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পার্থক্য একাধিক কারণে হতে পারে।
এদিন আদালতে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন জানায় মৃতদের পরিবার। এ প্রসঙ্গেই বিচারপতি ঘোষ বলেন, “সিবিআই সম্পর্কে আদালতের অবস্থান, সিবিআই এখন Gallery Show হয়ে গিয়েছে। এই মামলা এখন সিবিআই কে দিলে Gallery Show হয়ে যাবে। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেব না।”
–
–
–
–
–
–