আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ বিষয়ে রাজ্যের খাদ্যদফতর স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। বিভাগের প্রধান সচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই নির্দেশ সব জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক জেলাশাসককে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেখানে উল্লেখ করতে হবে—আধারের কারণে খাদ্যসাথী প্রকল্প থেকে কত পরিবার বঞ্চিত হয়েছে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কোন অভিযোগ জেলা স্তরে মেটানো যায়নি। বঞ্চনার ক্ষেত্রে যদি কোনও রেশন ডিলার বা খাদ্যদফতরের আধিকারিকের গাফিলতি ধরা পড়ে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে জাতীয় ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮ কোটি ৯০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের আধার সংযুক্তিকরণ ও ই–কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হয়েছে। তবুও কিছু পরিবার আধারের অজুহাতে এখনও রেশন পাচ্ছেন না। চিঠির শুরুতেই খাদ্যসচিব এই তথ্য তুলে ধরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও বৈধ ও দুঃস্থ পরিবারকে আর বঞ্চিত হতে দেওয়া যাবে না।
সরকারি এই কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করতে রেশন ডিলার, জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন ও খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আধার সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যাতে কোনও গরিব পরিবার খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্প থেকে বাদ না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন – হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
_
_
_
_
_
_