রেল পুলিশের (Rail Police) চরম অমানবিকতা। সোমবার বরাভূম স্টেশনে শান্তা কর্মকার নামে একটি মহিলার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুই ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রেল পুলিশ কতটা অমানবিক। মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে তুলে স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বামী। এমনই ছবি ধরা পড়ল বরাভূম স্টেশনে। মানুষের চরম বিপদেও পাশে থাকাটা যে মানবিকতার মধ্যে পড়ে সেটাও ভুলে গেলেন বরাভূম স্টেশনে কর্তব্যরত রেল পুলিশ (Rail Police)।

কী হয়েছিল গোটা ঘটনাটি? শান্তা ট্রেনে উঠে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহের কাজ করতেন। ট্রেনে করে ফেরার পথে বরাভূম স্টেশনে (Barabhum Station) নেমে যান। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্তা। কিছু সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই মহিলার দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে সেখানেই। জানা গিয়েছে, সেই সময় রেল পুলিশ কোনও রকম সাহায্য করেনি। এমনকী শান্তা কর্মকারের দেহকে হাসপাতালে পাঠানোরও কোনও রকম উদ্যোগ নেয়নি।

শেষে প্ল্যাটফর্ম থেকে মহিলার দেহ তাঁর স্বামীকে সরাতে দেখে স্থানীয় মানুষজন হস্তক্ষেপ করেন। বরাভূম স্টেশনে কর্তব্যরত রেল পুলিশ। শেষে স্ত্রী-র দেহ নিজের কাঁধে সরাতে হয়েছিল শান্তার স্বামী মনোজকে। দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। এই ঘটনা দেখে তাঁকে আটকান স্থানীয়রা। তাঁরা সাহায্য করেন। কেন জিআরপি বা রেলের কর্মীদের তরফে দেহটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

রেল অবশ্য নিজের মতো করেই সাফাই দিয়েছে এই ঘটনার। রেলের আদ্রা ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্ল্যাটফর্মে দেহ পড়ে রয়েছে, এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটি কন্ট্রোলে খবর দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমেই খবর যায় পুরুলিয়া জিআরপিতে। দেহ সরানোর কাজ জিআরপির। এ ক্ষেত্রে রেলের কিছু করার ছিল না। কিন্তু রেল পুলিশের এমন কাণ্ড খুবই হতাশাজনক এবং নিন্দনীয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।

–

–

–

–

–

–
