মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আধিপত্য কায়েমে বিজেপির নোংরা রাজনীতি দীর্ঘদিনের। ঠাকুরবাড়ির সংঘাধিপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur) এই নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এবার যখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা বলায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labour) উপর শুরু হয়েছে অত্যাচার, তখন মমতাবালা ঠাকুরই দাঁড়িয়েছেন আক্রান্ত মতুয়া (Matua) সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে। তাতেই কী ভয় পেলেন শান্তনু? দাদা সুব্রত ঠাকুর ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরের অরাজনৈতিক চরিত্রের স্বার্থে প্রতিবাদ করতেই কুকথা রাজনীতি শান্তনুর। তৃণমূলের দাবি, ওনার নোংরা রাজনীতি ফাঁস হতেই নাটক শুরু শান্তনুর।
সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাদেশের নাগরিক বলে যেভাবে বাংলার বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার চলছে তার শিকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষও। নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত এই ঘটনায় চাপে। তাঁর অনুগামী শান্তনু নাগরিক পরিচয়পত্র দিয়ে গোটা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন। মতুয়াদের বিভ্রান্ত করে যেভাবে ভুল পথে চালিত করেছেন, সেই চক্রান্ত ধরে ফেলেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিজেপির বাংলা বিরোধী রাজনীতির পাল্টা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই অনুগামী সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাভাষা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন উত্তর চব্বিশ পরগণায়। সেখানে সাড়া দিয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষও। আর তাতেই দিশাহারা শান্তনু ঠাকুর।
আরও পড়ুন: ২৮ অগাস্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি অধ্যক্ষদের, চিঠি মুখ্যমন্ত্রী -শিক্ষামন্ত্রীকেও
সোমবার মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে বিজেপির কুৎসিত রাজনীতির তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মতুয়া সমাজের নাগরিকদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাঁরা দখলদারির রাজনীতি করতে গিয়েছে। মতুয়াদের নিরাপত্তা, সামগ্রিক উন্নয়ন বিজেপি করেনি। আজকে অন্য রাজ্যে বাংলায় কথা বলায় মতুয়াদের (Matua) অত্যাচার করছে বিজেপির পুলিশ। ফলে এখানে মতুয়াদের নিয়ে বিজেপি যে নাটক করছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।
–
–
–
–
–