গরমিল কাগজে-কলমে! কেন্দ্রের ভুল রিপোর্টেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণী ‘গায়েব’ 

Date:

Share post:

প্রাণী গায়েব হওয়ার অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আদালতেও গড়িয়েছিল মামলা। অবশেষে বন দফতরের তদন্তে স্পষ্ট হলো—আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে একটিও প্রাণী নিখোঁজ হয়নি। আসল বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় রিপোর্টের হিসাব-নিকাশের গরমিল থেকে।

বন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো তথ্য ছিল যথাযথ। কিন্তু কেন্দ্রের প্রকাশিত রিপোর্টে সংখ্যার অমিল ধরা পড়ে। রাজ্য সংশোধনের আবেদন জানালেও সাড়া মেলেনি। এই ভুল তথ্যই প্রাণী গায়েব হওয়ার জল্পনা ঘনীভূত করেছিল।

জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চিড়িয়াখানায় ৬৭২টি প্রাণী ছিল, যা ২০২৪-২৫ সালে নেমে এসেছে ৩৫১-এ। অর্থাৎ, ৩২১টি প্রাণী নেই। তিন দশক ধরেই নাকি একই ধারা চলছে, এমনকী গত দশ বছরের হিসাব খতিয়ে দেখার আবেদনও জানানো হয় আদালতে।

অভিযোগ ওঠার পর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টরকে সরিয়ে তদন্ত শুরু করে রাজ্য। সেই রিপোর্ট বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার হাতে পৌঁছেছে। তবে তিনি এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

তদন্তে এক আধিকারিকের দাবি, প্রাণী সরানো প্রায় অসম্ভব। কারণ দেশের এক চিড়িয়াখানা থেকে অন্য চিড়িয়াখানায় প্রাণী আনতে বা পাঠাতে হলে কেন্দ্রীয় জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়।

তবে তদন্ত শুধু তথ্যগত গরমিলেই থামেনি। আলিপুর চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাজকর্মে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি এড়াতে তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি আরও শক্ত করার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি। বন দফতরের দাবি, রিপোর্টে স্বস্তি এলেও প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্য।

আরও পড়ুন –

spot_img

Related articles

বেওয়ারিশ বন্দুকের আড়ালেই চলত দাঁ ব্রাদার্সের রমরমা, গ্রেফতার তিন 

বয়স ৪০ কিংবা ৭০ বছর—এমনই বিরল সব বন্দুক পৌঁছে যাচ্ছিল অপরাধীদের হাতে। ডালহৌসির শতাব্দীপ্রাচীন দাঁ বন্দুক বিপণির আড়ালে...

রবি-সন্ধ্যায় প্রথমবার মঞ্চে ‘মাৎস্যন্যায়’: ব্রাত্যর লেখা নাটকের নির্দেশনা অর্পিতার 

অংশুমান চক্রবর্তী বাণভট্টের 'হর্ষচরিত' ও উইলিয়াম শেক্সপিয়রের 'টাইটাস অ্যান্ড্রনিকাস'-কে এক সুতোই গেঁথেছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য...

দুবছরে ৩ থেকে ৩০! স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে প্রধান শিক্ষকের লড়াইকে কুর্নিশ

"স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী/ আমরা কি আর বইতে পারি?"- সত্যি ছোটবেলায় আমাদের সবারই মনে হয় এই স্কুল, পড়াশোনার...

ভূতুড়ে ভোটারের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি বিজেপির! জানুন আসল সত্য

মহানগরীর বুকে গদি মিডিয়ার একাংশকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো ভোটার ইস্যু তৈরির চেষ্টা বিজেপির। চক্রান্ত ফাঁস করলেন কলকাতার...