মেলার গানের জনপ্রিয়তার আঁচ হাতে থাকতেই বিতর্কিত সারপ্রাইজ দিয়েছে নতুন বাংলা ব্যান্ড হুলি-গান-ইজম(Hooligaanism)। ৩১ আগস্ট বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে ‘পলিটিক্যাল স্যাটায়ার’ ধর্মী গান গেয়ে ঝড় তুলে দিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক-গায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)এবং তাঁর দল। তির্যক ভঙ্গিমায় গান উপস্থাপনা হলেও খোলা মনে ‘হুলি-গান-ইজম’-র প্রশংসা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তবে বেজায় চটেছে রাম-বাম জুটি। তাতে অবশ্য বয়েই গেছে অনির্বাণ-দেবরাজদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় যত বেশি বিতর্ক, তত বেশি শোয়ের আমন্ত্রণ। এবার সমালোচনাকে সাইডে রেখে পুজোয় বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বাংলার ‘হুলি-গান-ইজম’।

রবিবার শহরের বুকে একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ, বিজেপির দিলীপ ঘোষ ও সিপিএমের শতরূপ ঘোষকে নিয়ে তৈরি করা নতুন গান মঞ্চে গেয়ে শোনানোর পরই আঁতে ঘা লেগেছে বামেদের। তাই এক্ষেত্রে শতরূপপন্থীরা ট্রোলের ব্যাপারে অগ্রণী। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা বিজেপিও রে রে করে তেড়ে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া আন্দোলনে। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল অবশ্য এই দিক থেকে ব্যতিক্রমী। তিনি নিজে এই গানের প্রশংসা করেছেন, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে তা শেয়ারও করেছেন। যদিও বামেদের ‘রেগে আগুন তেলে বেগুন’ অবস্থা বিশেষ উপভোগ করছেন অনির্বাণ। নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে সক্রিয় না হলেও গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে এক লাইনে প্রকাশ করলেন তাঁর মতামত- ‘লিখলাম রেগে যাবে কুণাল ঘোষ, কিন্তু রেগে গেল মাকুরা।’ এই পোস্টও দ্রুত ভাইরাল হয়েছে (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ)। তবে এসবের মাঝে যেটা সবথেকে বড় খবর তা হল, বিতর্ক যত বাড়ছে ততই লাইম লাইটে চলে আসছে হুলি-গান-ইজম। বিতর্ককে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শোয়ের আমন্ত্রণে লক্ষ্মীলাভ ব্যান্ডের কলাকুশলীদের। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ফের ‘হুলি-গান-ইজম’কে দেখা যাবে। চড়ছে আগ্রহের পারদ। তার মধ্যে খবর আসন্ন শারদীয়ায় মার্কিন মুলুকে অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন অনির্বাণ-দেবরাজরা। ব্যাপারটা হজম করতে যে রাম-বামকে অ্যান্টাসিড খেতে হবে তা বেশ ধারণা করা যাচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে অভিনেতা-গায়ক কি সুরে সুরে বলবেন ‘আমাদের গান শুনতে ভিড় বাড়ছে, জমেছে খেলা.. বিদেশ যাব আমি তুমি’!

–

–

–

–

–

–

–

–