অংশুমান চক্রবর্তী
বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত’ ও উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘টাইটাস অ্যান্ড্রনিকাস’-কে এক সুতোই গেঁথেছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁরই লেখা ‘মাৎস্যন্যায়’ নাটকটি প্রথমবার মঞ্চস্থ হবে রবিবার সন্ধে সাড়ে ছটায় গিরিশ মঞ্চে। নাটকের নির্দেশনা অর্পিতা ঘোষের (Arpita Ghosh)।

ব্রাত্যর ‘মাৎস্যন্যায়’ নাটকে (Drama) দেখা যাবে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন। বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত’ এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘টাইটাস অ্যান্ড্রনিকাস’ অবলম্বনে রচিত এই নাটক। বাণভট্ট এবং শেক্সপিয়রকে মেলালেন কীভাবে? ‘মাৎস্যন্যায়’ প্রথমবার মঞ্চস্থ হবে সাত সেপ্টেম্বর। ব্রাত্য বসু জানান, “প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ধ্রুপদীয়ানাকে এক পাত্রে ফেলে ঝাঁকানোর ইচ্ছে ছিল আমার। ইচ্ছা ছিল রাসায়নিক পরীক্ষাগারের বিক্রিয়াটা কীরকম হয়, সেটা হাতে-কলমে পরীক্ষা করার। আমি দীর্ঘদিন ধরেই শেক্সপিয়র পড়ে আসছি। পাশাপাশি সংস্কৃত সাহিত্যও কমবেশি পড়ি। ফলে তুলনামূলক দুই টেক্সট, প্রাচ্যের সবথেকে গরিমাময় অন্যতম লেখক বাণভট্ট এবং পাশ্চাত্যের শেক্সপিয়রকে মেশালে তার চেহারা কেমন হয়, এটা আমার বরাবরই অন্বিষ্ট বিষয় ছিল। সেই কারণেই এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করেছি। মূল কারণ, পাশ্চাত্যের আলোকে প্রাচ্যকে দেখা আবার প্রাচ্যের গরিমায় পাশ্চাত্যকে অবলোকন করা।”


নির্দেশক অর্পিতা জানান, “ব্রাত্য বসুর নাটকটা খুব ইন্টারেস্টিং। নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে ক্ষমতা। মানুষের আদিম প্রবৃত্তি এই নাটকের মধ্যে অসম্ভবভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। আমি মনে করি, ব্রাত্য বসু আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাটককার। এর আগে পঞ্চম বৈদিকে আমি ব্রাত্য বসুর নাটক নিয়ে একবার কাজ করেছি। ওঁর নাটক নিয়ে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। তিন চার মাসের প্রসেস ছিল। আগে একটা ওয়ার্কশপ করিয়েছিলাম। তারপরে শুরু করেছি মহড়া। এই নাটকে একঝাঁক নতুন ছেলেমেয়ে খুব মন দিয়ে কাজ করেছে। কাজটা করে খুব মজা পেয়েছি। আশাকরি নাটকটা দর্শকদের ভালো লাগবে।”

অভিনয় করছেন শ্রীলা, শুভজিৎ, সায়ন্তন, সুচেতনা, গৌরব, সসমিত, সৈকত, পূজা, জিতাদিত্য, দেবাঙ্কী, সামীম, সৌম্যশেখর, অনিরুদ্ধ, পিয়ালী, রাণা, সায়ন্তনী, সোম্যদীপ, বিদ্যুৎ, তন্ময়। আবহে দিশারী চক্রবর্তী। আবহ প্রক্ষেপণে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। কোরিওগ্রাফি সোমা গিরি। আলো পল্লব জানা। পোশাকে অনীক ঘোষ, মাধবী বিশ্বাস, পায়েল সাহু। রূপসজ্জায় মহম্মদ আলি। সহকারী নির্দেশক বিহান মণ্ডল।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের মিনার্ভা রেপার্টারি থিয়েটারের প্রযোজনায় রবিবার সন্ধে সাড়ে ছটায় গিরিশ মঞ্চে মঞ্চস্থ হতে চলেছে ‘মাৎস্যন্যায়’। জোরকদমে চলছে মহড়া। ইতিমধ্যেই এই নাটক ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

–

–

–

–

–
–
–
–


