বয়স ৪০ কিংবা ৭০ বছর—এমনই বিরল সব বন্দুক পৌঁছে যাচ্ছিল অপরাধীদের হাতে। ডালহৌসির শতাব্দীপ্রাচীন দাঁ বন্দুক বিপণির আড়ালে চলছিল এই অবৈধ কারবার। শুক্রবার দোকানের মালিক তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু পুরনো বন্দুকের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর সেগুলি দাবিদারহীন অবস্থায় পড়ে থাকত। বিদেশি ব্র্যান্ডের বিরল অস্ত্রও ছিল তার মধ্যে। সেগুলিকেই জাল নথি বানিয়ে দাঁ ব্রাদার্স চড়া দামে বিক্রি করত অপরাধীদের কাছে। বৈধ ব্যবসার আড়ালে বছরের পর বছর চলেছে এই গোপন লেনদেন।

ইতিমধ্যেই এসটিএফ-এর হাতে উদ্ধার হয়েছে বিরল ৪১টি বন্দুক। কোনওটিরই বৈধ কাগজপত্র নেই। এই দোকান থেকে কত অস্ত্র পাচার হয়েছে এবং সেগুলি কারা হাতে পেয়েছে, তার খোঁজ চলছে। পুলিশের আশঙ্কা, অপরাধ জগতের বড় চক্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে এই কারবার।

প্রায় তিন সপ্তাহ আগে খড়দহের রিজেন্ট পার্কের একটি আবাসন থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারই তদন্তে দাঁ ব্রাদার্সের নাম সামনে আসে। এর আগে কানিংয়ের জীবনতলা থেকেও অস্ত্র উদ্ধারে এই দোকানের নাম জড়িয়েছিল। এমনকি অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে একবার দোকানটি সিলও করা হয়েছিল।

জেরায় ধৃতদের স্বীকারোক্তি, অনেকেই ব্যবহারের জন্য নয়, সাজিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে বিরল বন্দুক কিনতেন চোরাপথে। আইন অনুযায়ী, কোনও অস্ত্রের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তা পুলিশ, সেনার অস্ত্রাগার কিংবা বৈধ অস্ত্র বিপণিতে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই মালিকের বংশধররা অস্ত্র ফেরত নেন না। আর সেখানেই বেওয়ারিশ বন্দুক হয়ে উঠছিল পাচারের প্রধান হাতিয়ার।

আরও পড়ুন –
