মার্কিন তারকা আমান্ডা আনিসিমোভাকে হারিয়ে বিপক্ষের ঘরের মাঠে ইউএস ওপেন জিতলেন এরিনা সাবালাঙ্কা (Aryana Sabalenka)। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অষ্টম বাছাই আনিসিমোভাকে দেড় ঘণ্টার লড়াইয়ে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন বেলারুশের তারকা। খেলার ফলাফল ৬-৩, ৭-৬।টানা দ্বিতীয় ইউএস ওপেন এবং ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সাবালাঙ্কা।

নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ইউএস ওপেন ফাইনালে অষ্টম বাছাই আনিসিমোভাকে দেড় ঘণ্টার লড়াইয়ে পরাস্ত করলেন সাবলাঙ্কা।যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে প্রথম থেকেই সমর্থন পাচ্ছিলেন আমান্ডা আনিসিমোভা, কারণ তিনি ঘরের দর্শকদের সামনে খেলছিলেন। কিন্তু বেলারুশের তারকা অভিজ্ঞতাতে এগিয়ে ছিলেন। তবে দ্বিতীয় গেম সরাসরি জিততে না পারলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে টাইব্রেকারে জয় আদায় করে নেন সাবালেঙ্কা।
এর আগে মুখোমুখি সাক্ষাতে ন’বারের মধ্যে ছ’বার সাবালেঙ্কাকে হারিয়েছেন তিনি।ফলাফলই বলে দিচ্ছে, অনায়াসেই জিতেছেন বেলারুশ তারকা। কেবল আনিসিমোভাকে নন, সাবলাঙ্কা হারালেন খেলা দেখতে আসা হাজার পঁচিশেক দর্শককেও। কারণ দর্শক সমর্থনের পাল্লা ভারী ছিল ঘরের মেয়ের দিকেই।এখনকার টেনিস সার্কিটে সাবালেঙ্কার শক্তিশালী ফোরহ্যান্ডের মোকাবিলা করা কঠিন।কিন্তু আনিসিমোভাকে দেখে মনে হল না সমস্যা হচ্ছে। তার কারণও বোঝা যাচ্ছিল। সাবালেঙ্কার ফোরহ্যান্ডের পাল্টা আনিসিমোভা ব্য়াকহ্যান্ড কাজে লাগাতে শুরু করেন। সেই ব্যাকহ্যান্ডের জোর সামলাতে পারছিলেন না সাবালাঙ্কাও। ঠিক তখনই বুদ্ধি কাজে লাগালেন শীর্ষবাছাই। জয় ও তুলে নিলেন।

চলতি মরশুমে এর আগের ১৮টি টাইব্রেকার খেলে সবগুলি জিতেছেন সাবালেঙ্কা। ফলে টাইব্রেকারে তাঁর সামনে আনিসিমোভার দাঁড়ানো সহজ ছিল না। সেটাই দেখা গেল।গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পর আগের দুই ফাইনালে হার নিয়ে সাবালাঙ্কা বলেন, “ওই দুটি ফাইনালে আমি আমার আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলাম। তাই আমি চাইনি এবারও তা ঘটুক। কিছু মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম, তবে শান্ত থাকতে পেরেছিলাম।”

সেটা জয়ের পর মার্কিন দর্শকদের কিছুটা কটাক্ষ করলেন বেলারুশ তারকা তিনি বলেন, “আশা করি পরের বার আমি সমর্থন পাব, আমি এর আগেও এই পরিস্থিতির মধ্যে খেলেছি, কতটা কঠিন থাকে সেটা আমি জানি।’

–

–

–
–
–

–
–