দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেলাগাম খুনখারাপি। চুপ নরেন্দ্র মোদি।
মহিলাদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো। চুপ নরেন্দ্র মোদি।
হিংসার জেরে গোটা মন্ত্রিসভার পদত্যাগ। নাক গলালেন না প্রধানমন্ত্রী।
অবশেষে দু’বছর পর হুঁশ ফিরেছে। শনিবার অশান্ত মনিপুরে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন এত দেরিতে মনিপুর (Manipur) যাওয়ার কথা মনে পড়ল দেশের প্রধানমন্ত্রীর, প্রশ্ন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

২০২৩ সালে যখন কুকি ও মেইতি (Kuki and Meiti) – দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আগুন ছড়িয়ে ছিল মণিপুরে। সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কিন্তু তৎকালীন বিজেপি প্রশাসন সেই অনুমতি দেয়নি। বিরোধীদের ঢুকতে না বাধা দিলেও বিজেপি নিজেও যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনও চেষ্টাই করেনি মণিপুরে, তা দেশের প্রধানমন্ত্রীর চালচলনেই স্পষ্ট। দীর্ঘ দু বছরের অশান্তির পর যখন কিছুটা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মনিপুর, তখন ভ্রমণে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

মনিপুরের মুখ্য সচিবদের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, ১৩ সেপ্টেম্বর মনিপুর আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন হবে বহু প্রকল্পের। আর তাতেই নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে মণিপুরে। অথচ চূড়াচাঁদপুরে (Churachandpur) প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়া অশান্ত এলাকায় আর কোনও পরিকল্পনা নেই মোদির। দলীয় সভা তিনি করবেন রাজধানীর ইম্ফলে। অর্থাৎ এবারেও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে না মনিপুরের অশান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের।

আরও পড়ুন: PAC-তে ভর্ৎসনা কেন্দ্রকে! কেন বাংলায় একশো দিনের টাকা বকেয়া, প্রশ্ন

তবে মোদির এই সফরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, দু বছর ধরে মনিপুর (Manipur) জ্বলছে। নারী নির্যাতন, এত মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি, বেনজির। তাই প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) যাচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়। প্রশ্ন হল এতদিন বাদে যাচ্ছেন। কোনও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয় এত দেরি।

–

–

–

–

–