তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তোপের মুখে এবার এজেন্সি। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সংক্রান্ত ২০ বছর পুরনো একটি মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল ও বিচারপতি পি বি ভারালের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, “প্রশাসনের উপর মানুষের আস্থা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই কারণে যাঁরা তদন্ত করেন, অর্থাৎ তদন্তকারীদেরও কখনও কখনও তদন্তের আওতায় আনা জরুরি।” বিচারপতিরা আরও জানিয়েছেন,”শুধু সুবিচার দিলেই হবে না। আইনব্যবস্থা যে কাজ করছে, ঘটনাপ্রবাহ দেখে মানুষ যেন তা বুঝতে পারেন।”

২০০১ সালে সিবিআইয়ের (CBI) জয়েন্ট ডিরেক্টর নীরজ কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাট ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পদেও ছিলেন নীরজ। ওই মামলায় নাম জড়িয়েছিল আরও এক সিবিআই আধিকারিক বিনোদ কুমার পাণ্ডের। ২০০৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের দুজনের নামে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নীরজ ও বিনোদ। ২০১৯-এর মার্চে সেই মামলাও খারিজ করে দেয় আদালত (Supreme Court)। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন দুই সিবিআই আধিকারিক। সেখানেও তাঁদের আর্জি খারিজ করল দুই বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রায় আড়াই দশক পুরনো এই মামলায় এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন- নেপালে অশান্তির আগুনে মৃত্যু ভারতীয়ের! দূতাবাসের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ

বিচারপতিরা আরও জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তদন্ত করবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা তার থেকে উচ্চ পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বেই হবে তদন্ত। কোনও গাফিলতি বরদাস্ত নয়। মামলাটি সম্ভব হলে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ কড়া ভাষায় জানিয়েছে, অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআই আধিকারিকরা থাকার কারণেই এফআইআরে গড়িমসি করেছে পুলিশ।

_

_

_

_

_

_
_