ইলিশ উৎসব: খাদ্যাভ্যাসে চোখ তুলে তাকালে কালো হাত গুঁড়িয়ে যাবে, হুঁশিয়ারি কুণালের

Date:

Share post:

সব ধর্ম-ভাষা-বর্ণের মানুষের উৎসবের তীর্থভূমি কলকাতা। তাই কলকাতাই উৎসব নগরী। বরাবর কলকাতায় নিরাপত্তার সঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে পালন করেছেন ভিন রাজ্যের মানুষেরাও। অথচ সম্প্রতি বাঙালিদের সঙ্গে, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে পর্যন্ত যে অত্যাচারের নিদর্শন রেখেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি, তাতে আতঙ্কে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক থেকে প্রবাসী বাঙালিরা। খোদ দিল্লির উপকণ্ঠে হুলিয়া জারি হয়েছে মাছ খাওয়ার বন্ধের। তবে যাবতীয় চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বাঙালি ধরে রেখেছে নিজেদের খাদ্যাভ্যাসকে। তাই আজও কলকাতা শহরে রমরমিয়ে চলে ইলিশ উৎসব। সেই উৎসব থেকেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বার্তা, কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। ইলিশ উৎসবের মতোই আরও অনেক উৎসবে ফুটে উঠবে বাংলার সংস্কৃতির জয়গান।২১ বছর ধরে বিধায়ক পরেশ পালের ইলিশ উৎসব এবারেও ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। রবিবার এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, কাউন্সিলর স্বর্ণকমল সাহা, অয়ন চক্রবর্তী, মৃত্যুঞ্জয় পাল, পাপিয়া হালদার, প্রাক্তন বিধায়ক স্মিতা বক্সি, প্রিয়দর্শিনী ঘোষসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। কড়া ভাজা রুপোলি শস্য পাতে রেখে উচ্ছ্বসিত কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলা এবং বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে ইলিশ মাছের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পরেশদা এই ঐতিহ্যকে উত্তর কলকাতায় উৎসবের রূপ দিয়েছেন। বাংলা ও বাঙালির এই উৎসব চলতে থাকুক।

বাঙালির সেই সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল বলেন, বাংলার উপর রাগ ফলাতে গিয়ে এখন শিকড় ধরে টান মারছে। আমরা বলছি, বাংলা আছে বাংলাতেই। একজনও বৈধ ভোটারের গায়ে হাত পড়লে গোটা বাংলা থেকে এক লক্ষ কর্মী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লি ঘেরাও অভিযান করবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। সেখানে বসে বড় বড় কথা বলছে, মাছ খাওয়া যাবে না। আমি মাছ খাই, খাবো। যিনি মাংস খান, তিনি খাবেন। যিনি খান না, তিনি খাবেন না। আমি কী খাব, কী পরব, কোন ভাষায় কথা বলব, আমার মাতৃভাষা কি – বিজেপি আর কেন্দ্রীয় সরকারকে কেউ অধিকার দেয়নি সেদিকে চোখ তুলে তাকাবার। সেদিকে চোখ তুলে তাকালে তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে, গুঁড়িয়ে দিতে হবে। শুধু মিটিং মিছিলে নয়, পরেশ পালের ইলিশ উৎসবের মতো আরও অনেক উৎসবে, যাতে বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রক্ষা করা যায়। আরও পড়ুনঃ হিন্দিভাষীদের জন্য প্রভূত উন্নয়ন রাজ্যে! হিন্দি দিবসে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

spot_img

Related articles

ব্যাটারদের উজ্বল পারফরম্যান্সের দিনে হতশ্রী বোলাররা, অজিদের কাছে হার ভারতের

মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে (ICC Women World Cup) অস্ট্রেলিয়ার(Australia) কাছে হার ভারতের(India)। দক্ষিণ আফ্রিকার পর এবার অজিদের বিরুদ্ধেও হারতে...

রবিবার সন্ধ্যায় ফের মেট্রো বিভ্রাট, চূড়ান্ত ভোগান্তিতে যাত্রীরা

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় ফের বিভ্রাট কলকাতা মেট্রোয়। মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশনের কাছে একটি রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।...

৫৮ পাক সেনা খতম: পাক-আফগানিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে দাবি তালিবানদের

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিনা প্ররোচনায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে চলেছে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি। সর্বশেষ শুক্রবারের কাবুলে...

সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা: চাপে পড়ে সাফাই আফগান মন্ত্রীর

ভারতের (India) মাটিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে একজনও মহিলা সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এর জেরে...