রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীকে ঘিরে বাড়তি কর্মীর প্রয়োজনীয়তা সামনে এল। এই উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাচ্ছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, এসআইআর সংক্রান্ত কাজ সামলাতে কয়েক লক্ষ কর্মী প্রয়োজন হবে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ সামলাতে উপযুক্ত কর্মী নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মীর পাশাপাশি স্বীকৃত বেসরকারি এজেন্সি থেকেও দক্ষ কর্মী আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই সংশোধনীর কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলা শাসক, ওসি ইলেকশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
এদিকে, গোটা দেশে বিহার মডেল অনুসরণ করে এসআইআর প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা থাকলেও, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এই প্রক্রিয়াকে আরও বিকেন্দ্রীকৃত করার পথে হাঁটছে। রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৬৫ লক্ষ ভোটারের জন্য প্রতিজনকে দুটি করে ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফলে ১৫ কোটিরও বেশি ফর্ম ছাপার প্রয়োজন পড়বে। কেন্দ্রীয়ভাবে এত বিপুল সংখ্যক ফর্ম ছাপানো সম্ভব নয় জানিয়ে জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথ স্তরে বিএলওদের মাধ্যমে ফর্ম ছাপার ব্যবস্থা করতে। তবে প্রতিটি ফর্ম জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কমিশনের নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কারণ এই তথ্যের উপর নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনই।
ভোটার তালিকার এই বিশেষ সংশোধনীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এখন তৎপরতা তুঙ্গে। কমিশনের কড়া নজরদারিতে কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন – এসিএল-র ম্যাচে অভিনব টিফো মোহনবাগান সমর্থকদের
_
_
_
_
_
_