প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধানচাষিদের যাতে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নদীবেষ্টিত এলাকার জন্য গবেষণা করে তৈরি হয়েছে নতুন জাতের ধান—‘স্বর্ণধান’। সুন্দরবন-সহ নদীবেষ্টিত অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সেই ধান বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ধান থেকে উৎকৃষ্ট মানের চাল হয় এবং সহজে নষ্ট হয় না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নদীবেষ্টিত এলাকায় প্রায়ই বন্যা বা লবণাক্ত জলের কারণে ধানের ক্ষতি হয়। এতে কৃষকেরা দীর্ঘদিন সমস্যায় পড়েছিলেন। রাজ্য এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে সমাধানের চেষ্টা করেছে। শুধু ধানের নতুন জাত নয়, চাষিদের জন্য বিমার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিনই ডিভিসির অতিরিক্ত জলছাড়ার ফলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, একদিকে আমরা চাষিদের ক্ষতি এড়াতে নতুন ধানের ব্যবস্থা করছি, অন্যদিকে হঠাৎ জলছাড়ার কারণে তারা বিপাকে পড়ছেন। কৃষক মহলে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের মতে, ‘স্বর্ণধান’ প্রয়োগে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমবে।
আরও পড়ুন – দুর্গাপুজোয় বাণিজ্য ৭৮ হাজার থেকে ১ লক্ষ কোটির! প্রাথমিক সমীক্ষায় ইঙ্গিত
_
_
_
_
_
_
_
