নতুন জামা, নতুন জুতোর জন্য শহরমুখী গোটা বাংলা। মনে মনে করা হচ্ছে প্যান্ডেল হপিংয়ের পরিকল্পনা। আর সবটাই কলকাতা মেট্রোর উপর নির্ভর করে। পুজোর মরশুমে সেই মেট্রো প্রথমদিন যে পরিষেবার নমুনা রাখল তাতে কতটা নিশ্চিন্তে পরিকল্পনা করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ফের সেই গোড়ায় গলদ ধরা পড়ল কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro)। সিগনাল সমস্যায় জেরবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) যাত্রীরা।

কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা গত প্রায় দু-তিন মাস ধরে একেবারে নূন্যতম পরিষেবার সমস্যাতেই ভুগছে। সিগনাল, বিদ্যুৎ সরবরাহ, রেক পরিকাঠামো, কর্মীর সংখ্যা – এই সব সমস্যার জেরে আচমকা বন্ধ হচ্ছে পরিষেবা। আর মেট্রোতে গন্তব্যে পৌঁছতে চাওয়া যাত্রীদের চূড়ান্ত নাকাল অবস্থা। কার্যত প্রতিদিন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে – যে পরিকাঠামো কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) রয়েছে তা বিশ্বমানের তো কোন দূরের কথা, শিয়ালদহ বা হাওড়ার লোকাল ট্রেনের পরিষেবার থেকেও খারাপ।

বুধবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন যেখানে দুর্গাপুজোর কেনাকাটার পাশাপাশি নিত্যযাত্রী থেকে অফিস যাত্রীদের ভিড় সবথেকে বেশি হয়, ঠিক সেই সময়েই আচমকা বন্ধ গ্রিন লাইনে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোয় উঠে যাত্রীরা গরমে নাকাল। অন্যদিকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে হয়রান যাত্রীরা। অবশেষে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ গ্রিন লাইনের পরিষেবা।

আরও পড়ুন: উৎসবের ঢাকে কাঠি, আজ রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা বন্দনা

এদিন সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দুঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ থাকে গ্রিনলাইনের মেট্রো পরিষেবা। জানানো হয় সিগনাল সমস্যার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে পরিষেবা। পরে পরিষেবা চালু হলেও কার্যত নিশ্চয়তার অভাবে সাধারণ মানুষ বাস, অটোর পথেই রওনা দেন।

–

–

–

–

–