বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে কেন্দ্র কার্যত বাধ্য হয়েছেন কুফলকে সুফলে পরিণত করতে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmal Sitaraman) দাবির জবাব তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। জাতীয় গ্রন্থাগারের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবনে বৃহস্পতিবার শিল্প ও বণিক মহলের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জিএসটির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

এদিনের আলোচনা সভায় নির্মলা ছাড়াও ছিলেন বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক বৈশাখী ডালমিয়া, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, বিধায়ক ও অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় প্রমুখ। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটি হার কার্যকর হতে চলেছে। বাংলার সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই চালু করা হবে নেক্সট জেন GST। মাত্র দুটি স্তরের জিএসটির পুরোপুরি সুবিধা তুলতে পারেন বাংলার মানুষ। পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের পদক্ষেপের দিকগুলি বুঝিয়ে দেন।

দুধ, পনির, দইয়ের জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যে আনা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডীর ক্ষুদ্রশিল্প, বর্ধমানের হস্তকলাশিল্প অর্থাৎ শোলার কারিগরদের সামগ্রী ৫ শতাংশ, নকশিকাঁথার শিল্পীরা, মালদহের আম, দার্জিলিংয়ের চা শিল্প, চটের ব্যাগ, হোসিয়ারি ও রেডিমেড পোশাক শিল্পও এই জিএসটি হবে। বাংলার শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প ও বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও মৃৎশিল্প সামগ্রীর দাম ৫ শতাংশ স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এর পরেই নির্মলার বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই যে আজ সুফল বোঝাচ্ছেন এটা তো আসলে ছিল কুফল। সুফলটা তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি যে জিএসটির কাঠামো করেছিলেন সেটা পুরোটাই ছিল কুফল। একদম ধনীতম ব্যক্তিরা যে জিনিস ব্যবহার করে তার ওপর জিএসটি এই বা কম আর সাধারণ মানুষ, গরিব, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ যা ব্যবহার করে তার জিএসটি বেশি। স্বাস্থ্যবীমা বা জীবনবীমা যেগুলো মানুষের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তার ওপর ১৮ পার্সেন্ট জিএসটি। এই বিষয়টি প্রথম তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের ও তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এখন দেশবাসী সচেতন হয়েছেন। উনি সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং উনি দিয়েছিলেন কুফল কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা সুফলে পরিণত করতে বাধ্য করেছেন কেন্দ্রকে।“

–

–

–

–

–

–