মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করা বিজেপির পুরোনো পন্থা। আদতে বিজেপির নেতা, বিধায়ক বা সাংসদ ফর্ম ফিলাপের যে কারসাজি শুরু করেছে তাতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কোনও উপকার হবে না, দাবি করলেন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি স্পষ্ট বলেন, মতুয়াদের বলব সিএএ-তে (CAA) এপ্লাই করতে গেলে চার-পাঁচটা ধর্মের কথা উল্লেখ করেছে। সেখানে মতুয়া (Matua) ধর্মের কোন উল্লেখ নেই। মুসলিম নেই মতুয়া নেই। তাহলে মতুয়ারা কোন পর্যায় পড়ে। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) তিনি নিজেই বলছেন হিন্দু কোন ধর্ম নয়। সেখানে হিন্দু কার্ড কি করে দেয়। বিজেপি মিনিস্টাররা নিজের বাড়িতে ক্যাম খুলে কিভাবে ফ্রম দেয় এবং বিপুল পরিমাণে টাকা তুলছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্নভাবে ফাঁদ পাচ্ছে আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য। এর প্রতিবাদ হচ্ছে হবে।

শুক্রবার চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলা এলাকায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ, হুগলি-র ডাকে সভায় যোগ দিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সম্পর্কে সতর্ক করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি দাবি করেন, ভালো-মন্দ নিয়ে জগৎ। বংশে যদি কুলাঙ্গার জন্ম নেয়, এই জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শান্তনু ঠাকুরকে (Santanu Thakur) জন্ম দিয়েছে। মতুয়া ধর্মের বিভীষণ হচ্ছে ঠাকুর বাড়ির শান্তনু ঠাকুর। তাকে নিয়ে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে আরএসএস এবং বিজেপি।

আরও পড়ুন: GNLF বা KPP আর ভোটে লড়তে পারবে না: প্রকাশিত ৮০৮ দলের তালিকা

তবে তৃণমূল যে মতুয়াদের সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে তা স্পষ্ট করে দেন মমতাবালা। সেই সঙ্গে নেপালের জেন-জি আন্দোলনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই কোন শর্ত থাকবে না। আইন পরিবর্তন করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। আগামীতে নেপালে কি হয়েছে দেখেছেন তো? চ্যালেঞ্জ করে বলছি, ভারতবর্ষ সেটা হবে। মোদি, অমিত শাহ সেটা যেন জেনে রাখে। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করব বাধা দেওয়ার। মানুষকে এইভাবে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে না। একজনেরও নাগরিকত্ব বাতিল গেলে আমরা তাদের পাশে থাকব।

–

–

–

–

–

–