ক্রিকেট আবেগকে পুঁজি করে ফের একবার দেশপ্রেমে উগ্রতাকে উস্কে দিতে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। টাকার এবং সম্প্রচারকারীদের সঙ্গে চুক্তির কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে বাধ্য হচ্ছে ভারতীয় দল। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটের নীতি নৈতিকতাকে জলাঞ্জলি দেওয়া ভারতীয় দলের ভাবনা চিন্তার নেপথ্যে রয়েছেন কারা?

আইসিসি বা এসিসি ইভেন্টে না খেললে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে বিসিসিআই, তার উপর বিজ্ঞাপণ জগতের চাপতো আছেই। ফলে খেলতে একপ্রকার বাধ্য বিসিসিআই। কিন্তু এ যেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থা। মাঠে খেলতে নামলেও প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন না সূর্যকুমাররা। অথচ আইসিসির নির্দেশিকা আছে খেলায় করমর্দন করা এবং প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে সৌজন্য বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন উঠছে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে। এটা সর্বজনবিধিত বিসিসিআই এখন সম্পূর্ণভাবেই কেন্দ্রের শাসক দলের অঙ্গুলী হেলনেই চলে। ফলে শ্যাম রাখি এবং কুল রাখি কৌশল নিয়েছেন অমিত শাহ। একদিকে ছেলের আইসিসির চেয়ার বাঁচাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার অনুমতি দিচ্ছেন। আবার সেই খেলাকে হাতিয়ার করেই দেশপ্রেমের আবেগে সুরশুড়ি দিচ্ছেন।

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেছেন, “যখন তুমি প্রতিবাদের জন্য খেলো, তাহলে তো না খেললেও চলত। প্রতিবাদ করে খেলার কোনও মানে হয় না। একবার খেলতে রাজি হয়ে গেলে, সেটা আইসিসি ইভেন্ট হোক বা এশিয়া কাপ, তারপর তোমাকে সবটা দিয়ে খেলতে হবে। নাহলে খেলার কোনও প্রয়োজন নেই।”

আরও পড়ুন :গুরুর রেকর্ড ভাঙলেন শিষ্য অভিষেক, সেলিব্রেশনে পাকিস্তানকে দিলেন শিক্ষা!

গত রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে পারেন। ম্যাচ শুরুর পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন হয়তো করবেন না। এমন আভাস ছিল। টসের সময়ে দেখা যায় ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে। পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ। সূর্য হাত মেলালনি পাক অধিনায়কের সঙ্গে। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।এমনকি সুপার ফোরের ম্যাচে একই পন্থা বজায় রাখে ভারত।

–

–

–

–
–
–