যে কোনও ফোন থেকেই সম্ভব হচ্ছিল ভোটার তালিকা ‘সংশোধন’। যে কোনও ব্যক্তি ইচ্ছামতো সঠিক ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে দিতে পারছিলেন ভোটার তালিকা থেকে, কমিশনের এই ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল বিরোধীরা। পাল্টা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও কমিশনের কারচুপি যে ধরা পড়ে গিয়েছে, এবার তা প্রমাণ করে দিল নির্বাচন কমিশনই (Election Commission)। বদলে ফেলা হল ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও মোছার নিয়ম। বিরোধীরা ভোট চুরির যে অভিযোগে সরব, কার্যত তা ঠিক বলেই প্রমাণিত হল বিহার নির্বাচনের আগে।

ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলছিলেন যে কোনও ব্যক্তি। একের পর এক উদাহরণ তুলে প্রমাণ করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কর্ণাটকের আলন্দের (Aland) উদাহরণ তুলে তালিকা থেকে নাম মুছে যাওয়া ভোটারদের প্রকাশ্যে তুলে ধরেছিলেন তিনি। পাল্টা কমিশন দাবি করেছিল, তারা এই তালিকা সংশোধন করে ফেলেছিল ২০২৩ সালেই। বাস্তবে যে সেই সমস্যা সর্বত্র, তা প্রমাণ করতে প্রস্তুত বিরোধীরা। তার আগে নিয়ম বদলের হিড়িক কমিশনের।

নতুন নিয়মে ভোটার তালিকায় নাম ও তোলা ও মোছার জন্য ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৭ ভরার জন্য বাধ্যতামূলক করা হল আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বর। এতদিন কমিশনের (Election Commission) সাইটে গিয়ে এপিক কার্ড সংযুক্ত ফোন নম্বর (phone number) থেকে ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা মোছা যেত। নতুন নিয়মে তার সঙ্গে একটি নতুন নিরাপত্তা স্তর এতদিনে জোড়ার পথে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: ছয় বছর ধরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ মোদি-শাহর! লাদাখে বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন

নতুন নিয়মে ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৭ ভরার জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে গেলে প্রথমেই একটি থার্ড পার্টি সাইট খুলবে। সেখানে আধার সংযুক্ত থাকা মোবাইল নম্বর চাওয়া হবে। সেখানে ফোন নম্বর যাচাই হলে তবেই ফের কমিশনের সাইট খুলবে। সেখানে গিয়ে নতুন নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়ার কাজ করা যাবে। নতুন করে নিরাপত্তা যুক্ত হওয়ায় স্পষ্ট হয়ে গেল আদৌ কোনও নিরাপত্তা ছিল না দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের ভোটার তালিকার।

–

–

–

–

–