বর্ষার বৃষ্টি যে শীত পর্যন্ত ডালপালা মেলেছে, তাতে শহরবাসী অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা রাজ্যে কেনাকাটা থেকে পুজো দেখার ঢল নেমেছে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই। পুজোর পাঁচদিন যে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির (light rain) পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দিচ্ছে, তা যে বাঙালির পুজোর স্পিরিটকে দমিয়ে রাখতে পারবে না, তা এবার স্পষ্ট। তৃতীয়াতেই পুজো পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস (forecast) শুনিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

বঙ্গোপসাগরের উপর বর্তমানে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তা মূলত বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলে। উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরের এই নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তি হারাবে। এর জেরে আগামী পাঁচ থেকে সাতদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির (light to moderate rain) সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে।

তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে; সেটি বুধবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার আশঙ্কা। শনিবার মেঘলা আকাশ, কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলাতে।

আরও পড়ুন: জলযন্ত্রণা কাটিয়ে কেমন আছে কলকাতা? দুর্যোগের চিন্তা কাটছে না শহরবাসীর!

কলকাতায় আগামী দু-দিন রোদের দেখা মিললেও মেঘলা আকাশ থাকবে। কখনও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং-সহ উপরের পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

–

–

–

–

–