স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা : বাংলা-ই প্রথম রাজ্য যে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের উপর সম্পূর্ণ জিএসটি ছাড় দাবি করে এসেছে (আগস্ট ২০২৪ থেকে)। অবশেষে জিএসটি হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হল।

শক্তিশালী কৃষক : সারের উপকরণ, চাষের যন্ত্রপাতি ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাঁচামালের উপর জিএসটি ছাড়ের জন্য বাংলা বরাবর লড়াই করে এসেছে, যার পরিণামে অবশেষে এই সকল সামগ্রীতে জিএসটি হার ১২ এবং ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার : জঙ্গলমহলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস কেন্দু পাতার উপর জিএসটি কমানোর জন্য বাংলার দাবিকে মান্যতা দিয়ে অবশেষে জিএসটি হার ১৮ শতাংশ থেকে মাত্র ৫ শতাংশ করা হল।

হস্তশিল্পে জীবনীশক্তি সঞ্চার : দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে হস্তশিল্প ক্ষেত্রে জিএসটি হার যুক্তিসংগত করার পক্ষে বাংলার নিরবচ্ছিন্ন লড়াই অবশেষে ফলপ্রসূ হল। জিএসটি হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

টেক্সটাইল, পোশাক ও জুতো সাশ্রয়ী হল : সাধারণ মানুষের স্বার্থে টেক্সটাইল সামগ্রী, কমদামের পোশাক ও জুতোর উপর জিএসটি হার কমানোর জন্য বাংলার দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বিভিন্ন টেক্সটাইল পণ্য, ২৫০০ টাকার কম দামের পোশাক ও জুতোর উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হল। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।

সকলের জন্য বাড়ি : বাংলার সক্রিয় উদ্যোগে সিমেন্টের উপর জিএসটি হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে বাড়ি নির্মাণের খরচ অনেকটা কমবে। এর দরুন ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি-সহ সকল মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নিজের বাড়ির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

মধ্যবিত্ত জীবনের সুরাহা : টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি সুষ্ঠু মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণের উপকরণ। বাংলার সমর্থনে এই সকল ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে জিএসটি-র হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নীতির জন্য অনিশ্চিত এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলের অংশগ্রহণ

ব্যবসার স্বার্থে সহজীকরণ : আইন সংক্রান্ত কমিটি ও ফিটমেন্ট কমিটিতে সক্রিয় অবদানের মাধ্যমে বাংলা সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোগীদের জন্য নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি আদায় করতে পেরেছে। ১) অপেক্ষাকৃত সরল ও দ্রুত রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি। ২) দ্রুততর রিফান্ড ব্যবস্থা ইত্যাদি ।

–