শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ভারত আগেই ফাইনালে চলে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার আবার সেই সম্ভাবনা নেই। কিন্তু রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালের আগে ভারতের চিন্তা ও উদ্বেগ দুটোই বাড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। নিয়মরক্ষার ম্যাচটি গড়াল সুপার ওভারে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ওভারে জয়ী ভারত।

অভিষেক শর্মার দাপট এই ম্যাচেও অব্যাহত থাকল। ৩১ বলে ৬১ রান করে আউট হন। ৩০৯ রান পকেটে নিয়ে এই এশিয়া কাপে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুধু এই এশিয়া কাপে নয়, সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যত এশিয়া কাপ হয়েছে, তার একটি সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রান অভিষেকেরই।

্ অভিষেকের পারফরম্যান্স বাদ দিলে বাকিটা শুধুই হতাশার। ৪ রান করে শুভমান গিল আউট হয়ে যান। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (১২)রান পেলেন না। যেটা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। তবে মিডল অর্ডারে তিলক ও সঞ্জু স্বস্তি দিলেন। তিলক ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেন আর সঞ্জুর সংগ্রহ ৩৯। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত ২০২ রান করে।শেষ বলে তিন রান দরকার ছিল. শ্রীলঙ্কা সেখানে মাত্র ২ রান করে। কিন্তু দাসুন শনাকাকে আউট দিয়েও তা ফিরিয়ে নেন আম্পায়ার। কারণ প্রথমে ক্যাচ আউট হলেও পরে রান আউট হন। অথচ রিভিউ নিয়ে দেখা যায় ক্যাচ ছিল না। যেহেতু বল ‘ডেড’, তাই রান আউটও দেওয়া হয়নি।

২০২ রান স্কোর বোর্ডে নিয়ে ভারতীয় বোলারদের নাজেহাল করে দিল শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই কুশল মেন্ডিস ০ রানে আউট হলেও নিসঙ্ক শতরান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে বোলিংয়ের দিশা পেলেন না ভারতীয় বোলরারা। শেষ পর্যন্ত ১০৭ রান করে আউট হন। কুশল পেরেরা ৫৮ রান করেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

আরও পড়ুন:ব্যাটিংয়ে অভিষেক নির্ভরতা থেকে সূর্যের রান খরা, ফাইনালের আগে চিন্তার একাধিক কারণ

এশিয়া কাপে দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। তবে হর্ষিতের বোলিং দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষানবিশের মতো বল করছেন। তার বল অনায়াসে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। বলে কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। কোথায় বল করলে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটারকে আউট করা যাবে তা বোঝাই যাচ্ছে না। রানা ৪ ওভারে ৫৪, অর্শদীপ ৪ ওবারে ৪৬ দিলেন। দুই পেসারের পারফরম্যান্স চিন্তায় রাখবে ভারতকে।

–

–

–

–
–
–