বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকে সফলভাবে পর্দায় তুলে আনলেন আজকের দিনের দুই চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ ও শ্রাবন্তী। ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবি (Film) সফল হয়েছে মেকিং এবং অভিনয়ের যুগলবন্দিতে। নাম ভূমিকায় শ্রাবন্তী ব্যতিক্রমী ধরণের ভালো কাজ করেছেন। আর প্রসেনজিৎ? ভবানী পাঠক চরিত্রটি প্রসেনজিতের (Prasrnjit Chatterjee) অভিজ্ঞতা, ধার এবং ভারে অসাধারণ।

ছবি শেষের পর মনে হয় ভবানী পাঠককে আরও কিছুটা বেশি স্ক্রিন দিলে বোধহয় আরও ভালো হত। বাস্তবে প্রসেনজিৎ তাঁর ওজনটা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই চরিত্রটি দিয়ে। পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সমাজ, সাহিত্য ও সময়কে বেঁধেছেন ঠাসবুননে। বাঙালিয়ানার মোড়কেই আস্থা রেখেছেন পরিচালক, এটা সুলক্ষণ।

সাহিত্যভিত্তিক ছবি তৈরির ঘাটতিকে পুষিয়ে দেওয়ার মত ছবি দেবী চৌধুরানী। তৎকালীন বাংলার সমাজ, ইংরেজ আগ্রাসন, বিদ্রোহকে ঠিকভাবে আজকের দর্শকের দরবারে এনেছে এই টিম। প্রচারের বিপুল কৃত্রিম আয়োজনের মায়াজালের বাইরে প্রসেনজিৎ-শতাব্দী একেবারে সুনীল গাভাসকারের মত কপি বুক কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি এনেছেন এখানে। দর্শক উপভোগ করছেন দারুণভাবে।

নির্ধারিত দিনের আগে ছবি রিলিজ, টিকিটের দাম বাড়িয়েও শেষে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি, বাড়তি শো দিতে লবি করা, এসবে দেখা যায়নি প্রসেনজিৎকে (Prasenjit Chatterjee)। আসলে তাঁর দুর্ভাগ্য, তিনি যখন ইন্ডাস্ট্রিকে হিটের পর হিট দিয়েছেন, তখন ফেসবুক, ইউ টিউব, রিল, এক্স, ইনস্টা-এসব সেভাবে আসেইনি। এসব ছাড়াই তিনি দীর্ঘদিন রাজ করেছেন। কেন রাজ করেছেন, তার কারণটা দর্শক খুঁজে পাবেন আজকের ভবানী পাঠকের মধ্যে। এই দেবী চৌধুরানী ছবি বাংলার দর্শক মনে রাখবেন।

–

–

–

–

–

–