বাংলা ও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে অপমানের প্রতিবাদ গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে। বাংলার সব থেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসবেও যে তার প্রভাব থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। পরিযায়ী শ্রমিক ও বাংলার অস্মিতাকে তুলে ধরে তৈরি হওয়া কলকাতার উত্তরের দুই মন্ডপে ঘুরলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্ডপের সামনেই ১১ পরিযায়ী শ্রমিককে তুলে দিলেন পুজোর উপহারও।

নাগেরবাজার জ’পুর জয়শ্রী পুজো মন্ডপ পুরোপুরি পরিযায়ী শ্রমিকদের কাহিনী তুলে ধরেই তৈরি হয়েছে। অষ্টমীর বিকালে সেই মন্ডপে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে বন্ধু মহলের পুজো মণ্ডপেও মেয়েকে নিয়ে অষ্টমীর বিকালে পৌঁছে যান তিনি। সেখানেও বাঙালি মনীষীদের মূর্তিসহ বাঙালি অস্মিতাকে তুলে ধরেই তৈরি হয়েছে মন্ডপ। সেই মন্ডপে শহীদ ক্ষুদিরাম থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক।

অষ্টমীর বিকালে এক অনন্য অনুভূতির সাক্ষী থাকল জ’পুর জয়শ্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের থিমে তৈরি পুজো মণ্ডপে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে পুজোর উপহার তুলে দিলেন অভিষেক। ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক জ’পুর মন্ডপের বাইরে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদ। আনন্দের দিনে সব শেষে তাঁদের সঙ্গে ফুচকাও খেলেন তিনি। বাঙালির দুর্গোৎসব একদিকে যেমন আনন্দের উৎসব, তেমনই বড়দের থেকে ছোটদের আশীর্বাদ পাওয়ারও উৎসব। অষ্টমীতে তাই সাংসদ সৌগত রায়ের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে চাইলেন না অভিষেক। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে নিলেন আশীর্বাদ।

আরও পড়ুন – ভিড় কীভাবে টানতে হয়? জানালেন পুজো উদ্যোক্তারা

_

_

_

_

_

_
_