পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ পাক সেনাবাহিনীর। পাকিস্তানি (Pakistan) সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন পুলিশ কর্মীরও। প্রায় শ’দুয়েক মানুষ আহত। পাক সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ৩৮ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। গত চারদিন ধরে ওই অঞ্চলে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দাদিয়াল, মুজাফফরাবাদ, রাওয়ালাকোট, নীলম ভ্যালি ও কোটলিতে ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ।

২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (এএসি)। পাক সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। ৩৮টি দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। দাবির মধ্যে রয়েছে,

PoK-কে-তে পাকিস্তানে বসবাসকারী শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দ ১২টি বিধানসভা আসন বাতিল করা

ময়দা ও বিদ্যুতের উপর ভর্তুকি, কর ছাড়

অসমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প সম্পূর্ণ করা

সেনা বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের কারণে এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ পাক (Pakistan) সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণআন্দোলনে রূপ নেয়। মুজফ্ফরাবাদে পাঁচ আন্দোলনকারীকে পাক সেনা গুলি করে মারে বলে অভিযোগ। আন্দোলন থামাতে হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকেই বন্ধ দোকান বাজার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে টানা বন্ধ মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা। ফলে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দাবি, তাঁরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দাবি শুনতে প্রস্তুত। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনা করতে হবে। সেনা বাহিনীকেও সংযম দেখানোর পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু সেটা যে শুধুমাত্র কথার কথা সেটা গুলি চালানোর ঘটনা থেকেই প্রমাণিত। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির মুখপাত্র নাসির আজিজ।
