উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে সোমবার সকালে হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সড়ক পথে যান জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্য দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চল ও জলদাপাড়ার সরকারি টুরিস্ট লজের প্রবেশ পথের ভাঙা কাঠের সেতু পরিদর্শন করেন তিনি। মন্ত্রীর আশ্বাস, “দ্রুত পর্যটন দফতর ও বন দফতর মিলিতভাবে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু করবে।”

বন্যায় প্রাণহানির ঘটনাও সামনে এসেছে। বীরবাহা হাঁসদা জানান, গরুমারায় একটি এবং জলদাপাড়ায় একটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। তবে বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জলদাপাড়া সংলগ্ন এলাকায় চারটি গন্ডার এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করতে কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

মন্ত্রী বলেন, “মানুষ যেন আবার নিজের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন, পর্যটনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসুক— সেটাই এখন লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, বন্যায় ভুটান দিক থেকে প্রচুর কাঠের লগ ভেসে এসেছে, বন দফতরের কর্মীরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এখনো জঙ্গলের কিছু জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, জল নামলে ক্ষয়ক্ষতি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া হলং বন বাংলো সম্পর্কেও আশাবাদী বার্তা দিলেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এখানকার মানুষ যদি মন থেকে চান, খুব তাড়াতাড়িই নতুন করে গড়ে উঠবে হলং বন বাংলো।”

আরও পড়ুন – ইমিউনিটি সিস্টেম নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা, মেডিসিনে নোবেল ত্রয়ীর

_

_

_

_
_


