বাংলায় শাসকদলের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালাল বিজেপি। ভাঙা হয় তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ভিনাইল বোর্ড। ছেঁড়া হয় পোস্টার-ব্যানার। পুলিশের সামনেই এই হামলার ঘটনা ঘটলেও তারা কোনওরকম বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ অভিষেক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এটা বিজেপির প্রতিশোধমূলক এবং আইন না মানার মানসিকতা প্রকাশ করে।”

মঙ্গলবার, অভিষেক লেখেন, “বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোটের ময়দানে হারাতে না পেরে, বিজেপি তাদের ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলিতে হিংসা উস্কে দেওয়ার জন্য নিজেদের সম্পূর্ণ বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। ত্রিপুরা পুলিশের নজরদারির মধ্যেই তাদের কর্মীরা ত্রিপুরায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাদের প্রতিশোধমূলক এবং আইন না মানার মানসিকতা প্রকাশ করে।”

Unable to defeat the Trinamool Congress at the ballot box in Bengal, BJP has unleashed its full machinery to provoke violence in states where they hold power. Their karyakartas ATTACKED and RANSACKED our Party office in Tripura, under the watchful eyes of the Tripura Police,… pic.twitter.com/n1RzgEOEdw
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) October 7, 2025
এর আগে ২০২১-এ ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয় অভিষেকের কনভয়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। সে কথা উল্লেখ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; কেবল ত্রিপুরাতেই আমাদের নেতা-কর্মীরা বারবার হামলার শিকার হয়েছেন। ২০২১ সালে ত্রিপুরায় আমার কনভয়ে বিজেপি-আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী ভাঙচুর চালায়। তারা গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে অথচ তাদের কাজ তাদের কথারই বিপরীত।”

বুধবার ত্রিপুরা যাচ্ছে তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ এই দলে রয়েছেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, যুব নেতা সুদীপ রাহা এবং সাংসদ সুস্মিতা দেব। অভিষেক জানান, “এই ভয়াবহ হামলার প্রেক্ষিতে, আমাদের রাজ্য থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আগামিকাল ত্রিপুরা যাচ্ছে। তারা পরিস্থিতি পরিচালনা করে আমাদের কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেবে পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে জানাবে। ভয় দেখানো, হিংসা বা প্রতিহিংসা কখনও আমাদের চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না। বিজেপির হিংসাত্মক রাজনীতিকে হারিয়ে গণতন্ত্র, আইন এবং জনগণের রায় সর্বদা জয়ী হবে।”

আরও পড়ুন – প্রসূতির চিকিৎসার প্রয়োজনেই প্রাণ হাতে জিপ লাইনে ক্ষরস্রোতা নদীপার BMOH ইরফানের

_

_

_

_

_
_