প্রকৃতির তাণ্ডবে পাহাড়ে বিপুল ক্ষতি, কেন্দ্রের প্যাকেজ ঘোষণা কই? পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ 

Date:

Share post:

প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ (North Bengal Disaster) স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ঠিকই কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোথাও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তো কোথাও ভাঙা ব্রিজ মেরামতির পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু যে উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে ভোটে ভরিয়ে দিয়েছে সেই পাহাড়ের এত বড় বিপর্যয় কেন্দ্রের তরফ থেকে কোন প্যাকেজের (Central Package) ঘোষণা হল না কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে ‘পাশে আছি’ বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।। ব্যস ওইটুকুই। জনবিচ্ছিন্ন বিজেপি (BJP) নেতারা মাঝেমধ্যে ফটোসেশন করতে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছেন কিন্তু দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই তাদের মুখে। এতেই পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরবঙ্গের মানুষের।

উত্তর থেকে দক্ষিণ কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই, বর্ষা বিদায়ের ইঙ্গিত রাজ্যে!

অতিবৃষ্টি আর ধসের (Landslide) জেরে শনিবার থেকে প্রকৃতির ভয়াবহ তাণ্ডবের সাক্ষী থেকেছেন দার্জিলিং- জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি-কোচবিহারের মানুষ। এত রাস্তা ভেঙ্গেছে যে সড়ক পথে কার্যত পাহাড়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল রাজ্যের অন্যান্য অংশের। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে প্রশাসন। দার্জিলিংয়েই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিক অনুমান প্রায় হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র (Darjeeling constituency) যাতে দখলে রয়েছে সেই বিজেপি নেতৃত্বের মুখে কেন্দ্রীয় প্যাকেজ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই কেন? বুধবার এমন প্রশ্নই তুলেছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ (GTA)।

প্রবল বর্ষণ, ধস, নদীর জলস্ফীতিতে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সেতু, চাষের জমি থেকে শুরু করে জলের লাইন সবটা তছনছ হয়ে গেছে। দুর্যোগের ছোবলে লন্ডভন্ড পাহাড়ের পর্যটন। এক রাতে মোট ৪৫৯টি ধসের ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জলপাইগুড়ির বানারহাটে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আলিপুরদুয়ারে জলদাপাড়া ফরেস্টে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। কোচবিহারেও একই অবস্থা। বুধবার কলকাতায় ফেরার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রয়োজনে তিনি আবার উত্তরবঙ্গ যেতে পারেন। কিন্তু যা করার সব তো রাজ্য সরকার (Govt of WB) করছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সরকারি প্যাকেজ নিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এল না কেন? এমনিতেই ভোটপাখিদের সারা বছর দেখা যায় না। তার উপর কঠিন সময়ে পাশে থাকার পরিবর্তে খবরে ভেসে থাকার জন্য বিজেপির ছোট মাঝারি বড় নেতাদের লোক দেখানো উপস্থিতিতে বেজায় ক্ষুব্ধ পাহাড়ের মানুষ।

spot_img

Related articles

সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা: চাপে পড়ে সাফাই আফগান মন্ত্রীর

ভারতের (India) মাটিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে একজনও মহিলা সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এর জেরে...

অপারেশন ব্লু-স্টারের ভুলে শুধু ইন্দিরা গান্ধী দায়ী নন: চিদাম্বরমের বক্তব্যে বিতর্ক

খালিস্তানি জঙ্গিদের দমন করতে ১৯৮৪ সালে যে অপারেশন ব্লুস্টার সংঘটিত করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার,...

আরসিবির সঙ্গে চুক্তিতে অনীহা, আইপিএল থেকেও অবসর নেবেন কোহলি!

টেস্ট, টি২০ আন্তজার্তিক থেকে অবসর নিয়েছেন। ওডিআইতে অস্ট্রেলিয়াই শেষ সফর কিনা বিরাটের(Virat Kohli) তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।...

ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা, রাহুলের কর্মকাণ্ডে তীব্র বিভ্রান্তি

দিল্লি টেস্টে হার বাঁচানোর লড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই  ভারতীয় বোলারদের আক্রমণে নাজেহাল ক্যারিবিয়ানরা। ইনিংস...