দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিনা প্ররোচনায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে চলেছে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি। সর্বশেষ শুক্রবারের কাবুলে হানা। এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু আফগানিস্তানের তালিবান (Taliban) প্রশাসনের। এমন একটি দিনে কাবুলে হামলা চালায় পাকিস্তান, যেদিন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) ভারতে সফরে এসেছেন। কূটনৈতিকভাবে ভারতের সমর্থন পাওয়ার পরে রবিবার কড়া প্রত্যাঘাত শুরু আফগানিস্তানের (Afghanistan)। ডুরান্ড লাইন (Durand Line) বরাবর আফগান হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৮ পাক সেনার, দাবি কাবুলের (Kabul)।

এক দিকে গৃহযুদ্ধে নাকাল পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। ইজরায়েলকে সমর্থন করে গাজায় শান্তিচুক্তির পক্ষে থাকা নিয়ে সরব পাকিস্তানের ইসলামিক সংগঠনগুলি। লাহোর (Lahore) শহরে রবিবারও সংগঠনের সমর্থকদের সঙ্গে পাকিস্তান পুলিশের সংঘর্ষে রক্ত ঝরেছে। কোনও মৃত্যুর ঘটনা নতুন করে না ঘটলেও রাজধানী বাঁচাতেও ব্যস্ত থাকতে হয়েছে পাক প্রশাসনকে। তবে সবথেকে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে লাহোর শহরেই।

তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডুরান্ড লাইন বরাবর আফগানদের হামলা। রবিবার ভোর রাত থেকে পাক সেনাঘাঁটি ঘিরে হামলা শুরু করে তালিবানরা। দিন শেষে কাবুলের দাবি, সীমান্ত বরাবর অন্তত ২০টি পাক সেনাঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তাঁদের বাহিনী। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৮ পাক সেনার (Pakistan Army)। আহত হয়েছে ৩০-এর বেশি সেনা।

ভারতে বসে যদিও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Amir Khan Muttaqi) দাবি করেন, বর্তমানে কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরিস্থিতি শান্ত। বন্ধ রাখা হয়েছে হামলা। ৪০ বছর ধরে আফগানিস্তান যে অশান্তির মধ্যে কাটিয়েছিল তা থেকে মুক্তি দিয়েছে তালিবান প্রশাসন। সেখানে নতুন করে অশান্ত করার খেলা শুরু করেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা: চাপে পড়ে সাফাই আফগান মন্ত্রীর

যদিও তিনি স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে আফগানিস্তানের কোনও শত্রুতা নেই। পাকিস্তানের কিছু যুদ্ধপ্রিয় শক্তি সাধারণ আফগানদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে আফগান মন্ত্রী সেই আসীম মুনিরেরই সমালোচনায় সরব হন ভারত থেকে।

–

–

–

–