উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ে সুপারহিরোর ভূমিকা নিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন উদ্ধারকার্যে। মুখ্যমন্ত্রীর পরদিনই ছুটে গিয়েছেন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সেখানে গিয়ে তদারকি করেছেন পাহাড় ও ডুয়ার্স পুনর্গঠনের কাজে। রবিবার সেই কাজের তদারকিতে গিয়ে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় রিভিউ মিটিং করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষদের পরিস্থিতি নিজে চোখে দেখলেন। দেখলেন তাঁর নির্দেশমতো কতটা কাজ হয়েছে। প্রশাসনের কাজকর্ম দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। প্রশংসা করলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও পুলিশকর্তাদের। যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকার্যে শামিল হয়েছিলেন, সেইসব বীর যোদ্ধাদের পুরস্কৃতও করেন তিনি।

রবিবার রিভিউ মিটিংয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ ও প্রশাসন দারুণ কাজ করেছে। একশোতে একশো পেয়েছে প্রশাসন। পুলিশের কর্মতৎপরতায় দ্রুত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। ফল এত বিপর্যয়ের পরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এর জন্য পুরো কৃতিত্ব জেলা পুলিশের। বিপর্যয়ের পরেই প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তা পর্যালোচনা করেন। এলাকা পুনর্গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধান সচিবদের দায়িত্ব দেন। পানীয় জলের ব্যবস্থাকে দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন। কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত সমীক্ষা করতে বলেন। ত্রাণ বিলির অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের জীবন বাজি রেখে দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের পুরস্কৃত করেন। তার মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও বনবিভাগের কর্মীরাও রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের কাছে থেকে এলাকার পরিস্থিতির খোঁজ নেন।

আরও পড়ুন – ৫৮ পাক সেনা খতম: পাক-আফগানিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে দাবি তালিবানদের

_

_

_

_

_

_

_