খাদ্য হল জীবনের প্রাণ। পেটে দু-মুঠো না দিলে কোনভাবে চলাফেরা সম্ভব নয়। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনশ্চিত করাই হল বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রধান লক্ষ্য। আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। এই দিনে এক্স হ্যান্ডেলে বাংলায় তৃণমূল সরকারের (TMC Government) প্রকল্পগুলি তুলে ধরে বিশ্ব খাদ্য দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,”সকলকে জানাই বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!রাজ্যের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে ২০১১ সালের পর আমরা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছি। যেমন –
‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি আমরা।
এর মধ্যে প্রতি মাসে রাজ্যে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ “দুয়ারে রেশন” এর মাধ্যমে তাঁদের বাড়ির দোরগোড়ায় বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। অবশিষ্ট উপভোক্তারা নিজেদের পছন্দমতো রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করছেন।
জঙ্গল মহলের মানুষজন, আয়লা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক পরিবার, টোটো জনজাতি এবং চা বাগানের শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষকে বিশেষ প্যাকেজে বর্ধিত হারে খাদ্যশস্য প্রদান করা হচ্ছে।
দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট পুজো এবং রমজান মাসে ও ঈদ উৎসব উপলক্ষে দরিদ্রতম পরিবারগুলিকে চিনি, ময়দা এবং ছোলা (কেবল রমজান মাসে) ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করা হয়।”

সকলকে জানাই বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
রাজ্যের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে ২০১১ সালের পর আমরা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছি। যেমন –
‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 16, 2025
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মা ক্যান্টিনের কথাও উল্লেখ করে লিখেছেন,”‘মা’ প্রকল্পে গরীব মানুষদের দুপুরের খাবার মাত্র ৫ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। ৩৫৬টি ‘মা ক্যান্টিন’-এ ৮ কোটি ৫৮ লক্ষ দরিদ্র মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য রাজ্যের ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষকবন্ধুর কাছ থেকে চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ ৫৬ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান রাজ্য সরকার সরাসরি কিনেছে। এর ফলে আমার কৃষকরাও তাঁদের ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন যা সরাসরি তাঁদের ব্যাংক একাউন্টে জমা পরেছে।
রাজ্যজুড়ে ‘সুফল বাংলা’র ৭৪৫টি আউটলেট থেকে বাংলার মানুষ সব্জি, ফল বাজারদরের থেকে অনেক কমদামে পাচ্ছেন। এখন সুফল বাংলাতে মাছও সুলভে বিক্রি হচ্ছে। মানুষের সুবিধার্থে এই আউটলেট আরো অনেক বাড়ানো হচ্ছে।
সকল মানুষের খাদ্যের অধিকার বজায় রাখার জন্য আমাদের এই সার্বিক প্রচেষ্টা আগামীদিনেও একইভাবে অব্যাহত থাকবে।
জয় বাংলা!”

–

–

–

–

–

–

–
–


