উৎসবের মরশুমে সাতসকালে রেল দুর্ঘটনা , ১২২০৪ সংখ্যার অমৃতসর-সহরসার গরিব রথে আগুন! আহত একাধিক যাত্রী। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। সূত্র মারফত জানা গেছে, লুধিয়ানা থেকে দিল্লি (Ludhiyana to Delhi) যাওয়ার পথে ট্রেনটি পঞ্জাবের সরহিন্দ স্টেশনের (Sarhind Station) কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই শর্ট সার্কিট থেকেই ১৯ নম্বর কামরায় আগুন লেগে যায়। লোকো পাইলট তৎপরতা দেখিয়ে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন থামাতেই আতঙ্কিত যাত্রীরা লাইনে ঝাঁপ দিয়ে নেমে পড়েন। আহত যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ট্রেনটি সকাল ৭.৩০ টায় সরহিন্দ স্টেশন ক্রস করেছিল। সেই সময় একজন যাত্রী ট্রেনের ১৯ নম্বর বগি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। দ্রুত আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে।খবর পাওয়া মাত্রই রেল পুলিশ ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লেগেছে বলে জানা গেছে। একজন মহিলা গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আরও বেশ কয়েকজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে রেলের ছিনিমিনি খেলা কিংবা ট্রেন সফরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা যেন খুব চেনা একটা ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে এদেশে। গত কয়েক বছরে যেভাবে রেল দুর্ঘটনা বেড়েছে সেই নিয়ে কথা উঠলেই নীরব থাকেন নরেন্দ্র মোদি আর খুঁজে পাওয়া যায় না রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদবকে। সংসদে আলাদা করে রেল বাজেট নেই। অথচ যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার ভাঁওতা দিয়ে প্রতিদিন সিগনাল বা ট্র্যাকের কাজ চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে না ট্রেন। রেলের ভাড়া, প্লাটফর্ম ফি বেড়েই চলেছে। কিন্তু ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুতেই কমছে না। এবার আরও এক দুর্ঘটনা। যদিও রেলমন্ত্রীর তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য মেলেনি।
–
–
–
–
–
–
–
