দিল্লিতে ইউপিএসসি পরীক্ষার্থী-যুবক খুনের ঘটনার তিন সপ্তাহ পর খুনের কিনারা করল পুলিশ। অভিযুক্ত তাঁর লিভ-ইন সঙ্গিনী অমৃতা চৌহান, প্রাক্তন প্রেমিক সুমিত কাশ্যপ এবং সুমিতের বন্ধু সন্দীপ কুমার। মঙ্গলবার তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২ বছরের রামকেশ ও ফরেন্সিক বিভাগের ছাত্রী অমৃতা প্রেমের সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন এবং দিল্লির গান্ধী বিহারের একটি ফ্ল্যাটে একত্রবাস করতেন। তবে অমৃতার জীবনে ফের ফিরে আসে প্রাক্তন প্রেমিক সুমিত। সেই থেকেই রামকেশকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অমৃতা ও সুমিত দু’জনেই খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। তাঁরা রামকেশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে চালাতে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়। খুনের পর মৃতদেহে তেল, ঘি ও মদ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অমৃতা।

৫ অক্টোবরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই মুখোশধারী ব্যক্তি রাত ৩টে নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন এবং কিছু সময় পরে অমৃতাকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ পৌঁছে যায় অভিযুক্তদের কাছে। তিনজনই উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, খুনের পেছনে প্রেম ও প্রতিহিংসার জটিল সম্পর্কই প্রধান কারণ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ি ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, খুনের পরিকল্পনা কত দিন আগে থেকে করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- বৈশাখীকে চিঠি-বিতর্কে রাশ, নির্দেশে স্থগিতাদেশ উচ্চশিক্ষা দফতরের

_

_

_

_

_
_
_


