পানিহাটির বাসিন্দা প্রদীপ কর এনআরসি (NRC) এবং এসআইআর(SIR)-কে দায়ী করে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ইস্যুতে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপ করের মৃত্যুর দায় নিতে হবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে নিতে হবে। একইসঙ্গে অভিষেকের স্পষ্ট কথা, প্রদীপ করের মৃত্যুর জবাব বাংলার মানুষ ভোটের মাধ্যমে দেবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রদীপ করের মৃত্যুতে ক’জন বিজেপি নেতার তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? কতজন খবর নিয়েছেন? পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতারা প্রদীপ করের বাড়িতে গিয়েছেন, খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে রয়েছেন।
এসআইআর শুরুর আগেই আত্মহত্যা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ নম্বর মহাজাতি নগরে। মৃত ৫৭ বছর বয়সী প্রৌঢ় প্রদীপ কর। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি নোটে দাবি করেন “এনআরসি আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।” ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ৪ নম্বর মহাজাতি নগরে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করতেন প্রদীপ কর। তিনি শয্যাদ্রব্য ব্যবসায়ী ছিলেন। ওই এলাকায় উমা অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে সেই ফ্লাট থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নাগরিকত্ব নিয়ে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। ছিলেন অবিবাহিত। এদিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরেও তাঁর কোনও সাড়া-শব্দ মেলেনি। দরজা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘরের মধ্যে থেকে চাঞ্চল্যকর সুইসাইড নোট মিলেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে খড়দহ থানার পুলিশ। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে হাই কোর্টে রাজ্য
২০০২ সালের ভোটার তালিকাতে নাম, পুরনো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ সমস্ত নথিপত্রই তাঁর ছিল। প্রদীপের মৃত্যুর খবরের পরই তাঁর বাড়িতে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধায়ক নির্মল ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতারা। চন্দ্রিমা বলেন, “এনআরসির জন্য তিনি আতঙ্কে ছিলেন। সোমবার বিকেলে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর তিনি আরও হতাশ হয়ে পড়েন। তারপর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক ছিলেন। রাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন।” নির্মল ঘোষ বলেন, “বিজেপি সরকারের এই কর্মকাণ্ডের কারণেই দেশের এক নাগরিকের প্রাণ চলে গেল। বিজেপি আগুন নিয়ে খেলছে।”
–
–
–
–
–
–
–