এবার এক ধাক্কায় প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বহুজাতিক সংস্থা অ্যামাজন। তার মধ্যে একটা বড় অংশকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাইয়ের (layoff) নোটিশ ধরানো হল। হাতে দেওয়া হল মাত্র ৯০ দিন সময়। সংস্থার দাবি, বাণিজ্যিক মুনাফার কারণে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সংস্থা নিয়োগে বিশ্বাসী তারা একসঙ্গে এত ছাঁটাইয়ের পথে কেন? সংস্থার এক শ্রেণির আধিকারিকদের দাবি, কৃত্রিম মেধায় (AI) সাহায্যে কাজ শুরু করার পরই ব্যয় সংকোচনের কথা ভাবা হয়। তার জন্য এবার কর্মী সংকোচন।
অ্যামাজনের (Amazon) পক্ষ থেকে ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের বিজ্ঞপ্তি (notification) প্রকাশ করা হয়েছে। আবার বিনয়ের সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর খুব চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। নতুন কাজ খোঁজার জন্য তাঁদের ৯০ দিন সময় দেওয়া হবে। সংস্থা তাঁদের সেই কাজ খোঁজায় সাহায্য করবে।
মার্কিন সংস্থা অ্যামাজন ২০২০ সাল থেকে ক্রমে ক্রমে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করেছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে প্রায় এক বছরে প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার কর্মী গোটা বিশ্বে নিয়োগ করেছিল এই সংস্থা। এর ফলে এক বছরে সংস্থার কর্মী প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। বর্তমানে সংস্থার কর্মী সাড়ে তিন লক্ষ।
তবে সিয়াটেলের এই সংস্থার সাম্প্রতিক হিসাব অনুসারে তারা প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের (10 percent layoff) পথে হাঁটতে চলেছে, দাবি সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারীদের। যদিও অ্যামাজন জানাচ্ছে, তাঁরা নতুন কর্মী নিয়োগের পথেও হাঁটবে। তবে সেটা যে সম্পূর্ণ আর্টিফিশয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য, তাও জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে অ্যামাজনের এই ছাঁটাইতেও যে সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: গুজরাটের হাসপাতালে নিরাপদ নয় রোগীরাই! শিশুর আত্মীয়কে চড় চিকিৎসকের
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে গোটা বিশ্বে ছাঁটাইয়ের কাহিনী নতুন নয়। ক্রমশ সেই সমস্যা বেড়েই চলেছে। এবার সেই তালিকায় অ্যামাজন (Amazon)। সেক্ষেত্রে অ্যামাজনে ছাঁটাই হলে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই। কারণ নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন গোটা বিশ্ব থেকে হয়েছিল, তেমনই ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রেও বিশ্ব জুড়ে হবে। ফলে ভারতের অ্যামাজনের ভারতের কর্মীদের মধ্যেও এই ঘোষণার জেরে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
–
–
–
–
