মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রায় বিতর্কিত। বিধানসভার কাস্টডিয়ান হিসেবে আমি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেছি।” অধ্যক্ষের বক্তব্য, “আমি যে ভাবে কেসটি দেখেছিলাম, তার প্রেক্ষিতেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখন আমি হাইকোর্টের অর্ডার কপি দেখতে চাই। তারপরই সিদ্ধান্ত নেব, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।”
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে অধ্যক্ষ আরও বলেন, “বিরোধীরা কখনও স্পিকারের প্রশংসা করে না। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি, সংবিধান মেনেই কাজ করেছি। কেউ পদত্যাগ চাইতেই পারে, কিন্তু তাতে কিছু হয় না। কিছুদিন আগে দিল্লিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তখনও অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন— আগে সেটা হোক।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মুকুল রায় নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করব না। মুকুলদা শারীরিকভাবে সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন, তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মুকুলদা তো নিজেই কনফিউজড ছিলেন। কাগজে কলমে বিজেপির একজন বিধায়ক কমেছে, তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়নি।”
কুণাল আরও যোগ করেন, “বিজেপির এই বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। যারা একের পর এক রাজ্যে অন্য দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছে, তাদের থেকে নীতিজ্ঞান শোনার দরকার নেই।”
আরও পড়ুন- বাংলায় আটকে যাবে অশ্বমেধের ঘোড়া! বিজেপিকে তোপ ঋতব্রতর
_
_
_
_
_
_
