টেলিভিসনের টক শো-তে ভোটের ফল বেরোয় না। মানুষের পাশে থাকতে হয়। কারণ আসল হল জনতা। আর এই জনতার পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। বাংলার মানুষের ঐক্য জোড়াল। এই ঐক্যের কাছে বার বার আটকে যাবে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া। বৃহস্পতিবার ফালাকাটায় এসাইআর বিরোধী প্রতিবাদ সভায় এভাবেই বিজেপিকে একহাত নিলেন আইএনটিটিইউিসর রাজ্যসভাপতি সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভায় ঋতব্রত বলেন, আমাদের রাজ্যে আর কিছু দিনের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে। আমাদের সঙ্গে আসাম সহ আরও কয়েকটি রাজ্যেও বিধানসভা ভোট হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আমাদের রাজ্য সহ অন্যান্য রাজ্যে এস আই আর ঘোষণা করলেও আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপি শাসিত আসামে এস আই আর নেই। এর আগে ২০০২ এ এস আই আর হয়েছিল। কিন্তু তার আগের বছর জনগণনা হয়েছিল। ২০২১ জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও সেটা নিয়ে অমিত শাহের দফতর কিছুই জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, এই এস আই আর নিয়ে শুধু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি সরকারি আধিকারিক এই কাজের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে সেরিব্রাল অ্যাটাকে মারা গেছেন। এই এস আই আর তড়িঘড়ি করে করার জিনিস নয়। ২০০২ সালে প্রায় দু বছর ধরে চলেছিল এই প্রক্রিয়া। আর এবার সেটা দু মাসে করবার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা আগাম বলে দিচ্ছেন এস আই আরে এক কোটি, দেড় কোটি নাম বাদ যাবে। এটা তারা কিসের ভিত্তিতে আগাম বলছেন। মহারাষ্ট্রে, দিল্লীতে, হরিয়ানায় ভোটের আগে লক্ষ লক্ষ ভোটার বেড়ে গিয়েছিল, সেই খেলা এখানেও খেলার চেষ্টা হচ্ছে। এদিন সভার আগে হয় প্রতিবাদ মিছিলও। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, সৌরভ চক্রবর্তী প্রমুখ। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে জেলাসভাপতি সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, প্রস্তুতি ছাড়ায় ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন কমিশন শুরু করায় একের একের বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ছে।
আরও পড়ুন- SIR আতঙ্কে মৃত্যু রাষ্ট্রীয় হত্যা! শ্যামলকুমার সাহার মৃত্যুতে শাহকেই দায়ী করলেন দেবাংশু
_
_
_
_
_
_
_
