৭০ বছর ধরে বিজেপি নেতা কর্মীরা এখানে অন্যান্য সব কর্মসূচির পাশাপাশি বিজয়া সম্মেলনীতেও মিলিত হতেন। অথচ মুরলীধর সেন লেনের সেই হল ঘরও তালা বন্ধ পড়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সেই ঘর খুলে বিজয়া সম্মেলনী (Bijaya Sammilani) করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পরিস্থিতি এমনই, বঙ্গ বিজেপিতে কোনও পদক্ষেপই এখন দিলীপ আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া করেন না। আর নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বও হাড়ে হাড়ে টের পায় বাংলায় দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব। তাই দিলীপের সব অনুরোধেই সম্মতি।

যদিও আদি-নব্যের দ্বন্দ্বে নব্য বিজেপির নেতা কর্মীদের পাশে পেলেন না দিলীপ ঘোষ। শনিবার ৬ মুরালীধর সেন লেনের (Muralidhar Sent Lane) বিজেপির রাজ্য দফতরে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি স্পষ্ট জানান, যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন তখনও এখানে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করতেন। এই দফতর তাঁর কাছে মন্দির। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, ৭০ বছর ধরে এই দফতরেই বিজেপির কার্য পরিচালনা হয়েছে। এখান থেকেই সত্তরের কোঠা পার করে ৭৭-এ পৌঁছেছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও এদিনের বিজয়া সম্মেলনীতে আমন্ত্রণ থাকলেও যোগ দেননি বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য বা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।

তবে সম্প্রতি নব্য বঙ্গ বিজেপি মুছে ফেলার সবরকম চেষ্টা করে চলেছে দিলীপ ঘোষের বঙ্গ বিজেপিতে অবদান। সেক্টর ফাইভ-এর দফতরে বিজেপির খতিয়ান তুলে ধরে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়নি ২০১৯ সালে বঙ্গ বিজেপির কৃতিত্ব। অথচ ২০১৯-এর লোকসভার পরই দিলীপ ঘোষের হাত ধরে পালা বদল হয়েছিল বঙ্গ বিজেপিতে। সেই বিজ্ঞাপনেই জায়গা দেওয়া হয়েছে ২০২৪-এর সাফল্য, যে লোকসভা নির্বাচনে কার্যত ধসে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জোট বাঁধল রাজ-উদ্ধব-শারদ: শুরু ভোট চুরির প্রতিবাদ

বিজ্ঞাপন থেকে বাদ দিয়ে যে দিলীপ ঘোষকে কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আদতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নব্য বিজেপির থেকে কতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিলীপ ঘোষ, তা প্রমাণিত হল শনিবারের বিজয়ের সম্মেলনীতে। বন্ধ হল ঘরের তালা খুলে পার্টি অফিসে বিজয়া সম্মেলনী করলেন দিলীপ। অনুগামীরা স্লোগানে ভরিয়ে ফেলল মুরলীধর সেন লেন। নেতাকে বরণ করলেন পদ্ম ফুলের মালায়।

–

–

–

–

–


