কথায়-কথায় কোর্টে গিয়ে মামলা করা বিরোধী দলনেতা গদ্দার অধিকারীকে পানিহাটির প্রদীপ কর (Pradip Kar) ইস্যুতে কড়া চ্যালেঞ্জ জানালেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik)। গত কয়েকদিন ধরে এসআইআর (SIR) আতঙ্কে আত্মঘাতী পানিহাটির প্রদীপের সুইসাইড নোট লেখা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) নানা বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতার দাবি, ডানহাতের চারটি আঙুল নেই, তা হলে কীভাবে সুইসাইড নোট লিখলেন? এমনকী, বাঁকুড়ায় চিতাবাঘের মৃতদেহ পাওয়া নিয়েও প্রদীপ করের ঘটনা মিলিয়ে বিদ্রুপ করেছেন। মৃতের পরিবারও বিজেপি নেতার এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টির উল্লেখ করে শনিবার বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘কথায়-কথায় তো বিরোধী দলনেতা কোর্টে যান। আমি ওঁকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, ক্ষমতা থাকলে, সাহস হলে প্রদীপ করের সুইসাইড নোট প্রয়াতের লেখা কি না, তা নিয়ে মামলা করুন। উচ্চপর্যায়ের তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় সুইসাইড নোট প্রদীপ করের লেখা নয়, তাহলে আমি সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে যাব।’
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ইলেকশন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বৈধ ন্যায্য ভোটারদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এসআইআরের নাম দিয়ে ঘুরপথে এনআরসি চালুর চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে রাজ্যের শাসক দলের তরফের আগেই অভিযোগ করা হয়েছে। আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কর। অথচ মৃত্যুর মতো এত সেন্সেটিভ একটা ঘটনাকে নিয়ে শুধু যে রাজনীতি করছেন তাই নয় পাশাপাশি প্রয়াত ব্যক্তির লেখা সুইসাইড নোট নিয়েও কুৎসা অপপ্রচার করতে মাঠে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বারাকপুরে সংসদ স্পষ্ট বলেন, ‘যদি সুইসাইড নোটটি প্রদীপ করেরই লেখা বলে প্রমাণ হয়, তা হলে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হবে গদ্দার অধিকারীকে। সাহস থাকলে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আদালতে মামলা করে দেখান উনি।’ শনিবার রাত পর্যন্ত পার্থর এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা তো দূরের কথা, কোনও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি বিরোধী দলনেতার। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ইতিমধ্যে প্রদীপ করের সুইসাইড নোট নিয়ে হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
