সোমবার রাত পোহালেই রাজ্যে শুরু বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলাপের কাজ। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ধরে যাচাই প্রক্রিয়া শুরু। আর তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতার ডি-ডি-ডি হুঙ্কার। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জেরে এমন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, যার জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আত্মঘাতী তিনজন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন একজন। রাজ্যের মানুষকে অভয় দিতে ও কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এসআইআর (SIR) চক্রান্তের বিরুদ্ধে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার কলকাতা শহরে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে পথে নামবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই রাজ্যে এনআরসি (NRC) প্রক্রিয়া শুরু করার পথে কেন্দ্রের বাংলা-বিরোধী বিজেপি সরকার। একদিকে রাজ্যের মানুষকে সিএএ ক্যাম্প থেকে নাগরিকত্ব দিচ্ছেন বিজেপির নেতারা। যেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নয়, নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকারী কেন্দ্রের শাসকদলের নেতারা। বিজেপি নেতারা তৃণমূলের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট – এসআইআর আদতে এনআরসি-র শুরু। তিনি দাবি করেছেন, এসআইআর-এর মাধ্যমে প্রথমে হবে ডিটেক্ট (detect), অর্থাৎ চিহ্নিতকরণ। তারপর ডিলিট (delete), অর্থাৎ ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ। এবং সবশেষে ডিপোর্ট (deport), অর্থাৎ বাংলাদেশে পুশব্যাক (push back)।
আরও পড়ুন: ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, দেশে জন্মালেই ভোটাধিকার! শাহের ন্যক্কারজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের
স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির নেতাদের প্রকাশ্যে এই ধরনের কথাবার্তার পরে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ বাংলার মানুষের মনে। রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এবার পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় মিছিল। রেড রোডে (Red Road) আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। শেষ হবে জোড়াসাঁকোয় (Jorasanko)। রাজ্যের মানুষের ভয় কাটিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
–
–
–
–
–
–