লালবাজারের কাছে আরএন মুখার্জি রোডে গাড়ির যন্ত্রাংশের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড(Fire)। সকাল ১০.৩০ মিনিট আগুন লাগে। রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ইঞ্জিন।
আগুনের ভয়াবহতা এবং তীব্রতা বাড়তে থাকায় সময় যত এগিয়েছে ততই দমকলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। দমকলকর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পৌরসংস্থার বির্পযয় মোকাবিলা কর্মীরা। দমকলের কাছে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ ছিল আগুনের উৎসস্থল খুঁজে বার করা। কারণ রাসায়নিক মজুত থাকায় কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ধোঁয়ার মধ্যে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
অতিরিক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে ভালো করেই দেখা যাচ্ছিল না। ফলে দমকল কর্মীদের কাছে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। তারা প্রথমে বাইরে থেকে জল দিয়ে ধোঁয়া কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনওভাবেই তারা আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না।
আগুনের সঙ্গে দাহ্য রাসায়নিক থাকায় দমকলের চ্যালেঞ্জ দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু দমকল আধিকারিকরাও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা করেন। শুধু একদিক থেকে নয় বিল্ডিংয়ের দুই দিক থেকে আগুনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। মুখে মাস্ক পড়ে কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। কীভাবে ভয়াবহ এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান দমকলের। তবে ওই গুদামে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল।
আগুনের উৎসস্থল আবিষ্কার করলেও সেখানে জল দিতে পারছিলেন না কারণ কালো ধোঁয়ায় ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না । আসলে গোটা বিল্ডিংটি অনেক পুরানো, কাঠের থাকায় সেটা ভাঙা সহজ হচ্ছিল না। অবশেষে দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাধ আগুনের উতসস্থলে জল দিতে পারেন দমকলকর্মীরা। ফলে ধোঁয়ার রঙ কালো থেকে সাদা হয়।
দমকলের আধিকারিক তরুণ কুমার দত্ত বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার জায়গাটা আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম কিন্তু সেখানে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অবশেষে সেটা হয়। এই ঘটনায় আপাতত কোনও হতাহত হয়নি।
–
–
–
