Friday, November 28, 2025

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

Date:

Share post:

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের বিতর্কে গেরুয়া শিবির। ‘জন গণ মন’ নাকি লেখা হয়েছিল ব্রিটিশদের তোষণের জন্য! আজব দাবি করলেন কর্ণাটকের (Karnataka) বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরির (BJP MP Vishveshwara Kageri)। বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, অল্প বিদ্যাই ভয়ংকর! ইতিহাস না জেনেই বাংলার সংস্কৃতি ও জাতির গর্বকে অপমানের চেষ্টা করছে বিজেপি।

হন্নাভরে ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ কাগেরি বলেন, “আমি ইতিহাস খুঁড়ে দেখতে চাই না। তখন ‘বন্দে মাতরম’কে জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি উঠেছিল। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা সিদ্ধান্ত নেন ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জন গণ মন’— দুটোই থাকবে। ‘জন গণ মন’ তখন রচিত হয়েছিল ব্রিটিশ অফিসারকে স্বাগত জানানোর জন্য।” তাঁর আরও দাবি, জন-গণ-মন সঙ্গীতের পরিবর্তে বন্দেমাতরমকে (Vande Mataram) ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত ছিল।

বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। নয়তো কেউ ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইতিহাসের’ ওপর ভরসা করে, বাংলাকে অপমান করার নোংরা রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের আত্মাকেই অপমান করে! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর — যাঁর কলমে জেগে উঠেছিল জাতির আত্মা, যাঁর সৃষ্টি ‘জন গণ মন’ আজ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত — তাঁকেই অপমান করলেন বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরি! বিজেপি সাংসদের মতে, ‘জন গণ মন’ নাকি লেখা হয়েছিল ব্রিটিশদের জন্য! এই মন্তব্য শুধু রবীন্দ্রনাথকে নয়, বাংলাকে নয়, জাতীয় সঙ্গীতকে, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও অপমান। বিজেপির কোনও অবদান নেই আমাদের দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে। তারা জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেমের মর্ম কী বুঝবে। এটাই বিজেপির আসল মুখ — যারা দেশের মাটি, মনন ও মর্যাদাকে বারবার হেয় করে; যাদের ইতিহাস বিকৃতি আর মিথ্যে প্রচারেই ভরপুর।

বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্ক খড়্গে। এক্স-এ তিনি লেখেন, “বিজেপি সাংসদ কাগেরি এখন বলছেন, জাতীয় সঙ্গীত নাকি ব্রিটিশদের জন্য লেখা। পুরোপুরি আজেবাজে কথা! বিজেপি যে আরএসএস-এর হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস পড়ে, সেটাই প্রমাণ হল। বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে কটাক্ষ করে খড়্গে আরও বলেন, ‘যাঁরা ইতিহাস খোঁজেন না বলে দাবি করেন, তাঁদের উচিত আরএসএস-এর মুখপত্র অর্গানাইজারদের পুরনো সম্পাদকীয়গুলো পড়ে দেখা। আরএসএস-এর দীর্ঘ ঐতিহ্যই হল সংবিধান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করা।’

আরও পড়ুন- চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

এসআইআরের চাপে হার্ট অ্যাটাক, কাজ করতে করতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের বিএলও-র 

রাজ্যে এসআইআরের (SIR) বলি আরও এক। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের কাজের অত্যাধিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এবার হার্ট...

Weather Update: ব্যাক টু ব্যাক ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গে বাড়ল উষ্ণতা!

একটা ঘূর্ণিঝড় যেতে না যেতেই আর একটা ঘূর্ণিঝড়ের (cyclonic formation) উৎপত্তি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ব্যাক টু ব্যাক ঘূর্ণিঝড়ের...

বেড়াতে গিয়ে সিনেমার মতো চুপিচুপি বিয়ে তনুশ্রীর 

রেড রক ক্যানিয়নকে সাক্ষী রেখে স্বপ্নের লাস ভেগাসে সিনেমার স্টাইলে বিয়ে টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর (Tanusree Chakraborty)। ব্যাকগ্রাউন্ডে...

বিজেপি রাজ্যে সার সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, কাঠগড়ায় সরকারি বিলিবণ্টন ব্যবস্থা

সরকারি কেন্দ্রে সারের অপেক্ষায় একটানা দুদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে। তবু ডাক এল না, কিন্তু প্রাণ চলে গেল। বিজেপি...