রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আতঙ্কে কেউ আত্মঘাতী, কেউবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এবার একইদিনে উত্তরবঙ্গে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের কাছে এক ব্যক্তি স্ত্রীর নাম না থাকার কারণে আত্মহত্যা (suicide) করেন বলে দাবি পরিবারের। অন্যদিকে এসআইআর (SIR) চালু হওয়ার পরে তালিকায় নাম না থাকায় বাড়িতে বিএলও (BLO) যাওয়ার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ধূপগুড়ির এক বাসিন্দার।

জলপাইগুড়ির খড়িয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জগন্নাথ কলোনীর বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার দুপুরে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী বিনোদিনী রায়ের নাম ছিল না। তা নিয়ে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। গত কয়েকদিনের মধ্যে ৩ বার তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর নাম আছে কিনা তা জানেন। শুক্রবার সকালেও তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর কাছে গিয়েছিলেন। এরপরই দুপুরে গ্রামের পাশের গাছে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নরেন্দ্রনাথ রায়ের একজন নয়, দুজন স্ত্রী। বিনোদিনী রায়ের পাশাপাশি মিনতি রায় নামেও তাঁর এক স্ত্রী রয়েছে। মিনতি রায়ের নামও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (voter list) ছিল না। এই পরিস্থিতিতে দুই স্ত্রীর কী হবে? তাঁদের কী হবে? সেই আশঙ্কাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের।

আরও পড়ুন: SIR আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যু! শেওড়াফুলির যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

অন্যদিকে, ধূপগুড়ির বাসিন্দা লালু রাম বর্মনের মৃত্যু হয়েছে এসআইআর আতঙ্কে দাবি পরিবারের। বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লালুর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না। ভোটার কার্ডও ছিল না। সেই কারণেই তিনি বেশ আতঙ্কে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা যখন বি এল ও এসআইআরের ফর্ম নিয়ে তাঁদের বাড়িতে যান, তখনই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন লালু রাম বর্মন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়িতেই মারা যান। ঘটনা স্বীকার করেছেন স্থানীয় বিএলও। তবে কী কারণে তিনি মারা গিয়েছেন, তা নিয়ে কিছু জানাননি তিনি।

–

–

–

–

–


